বিলাসবহুল গাড়ি ছেড়ে অটোতে চড়লেন মার্সিডিজ ইন্ডিয়ার CEO! কারণ জানলে হেসে গড়াগড়ি খাবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যানজট হল একটি বিরাট সমস্যা। দেশের প্রায় প্রতিটি বড় শহরেই প্রতিদিন যানজটের ঘটনা ঘটে। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে নিত্যযাত্রীদের ওপরে। তবে, এবার যানজটের কবলে পড়ে বিলাসবহুল গাড়ি ছেড়ে অটোতে চড়তে বাধ্য হলেন জনপ্রিয় গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার CEO। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মার্সিডিজ ইন্ডিয়ার CEO মার্টিন শোয়েঙ্ক (Martin Schwenk) যানজটের হাত থেকে বাঁচতে অটোর শরণাপন্ন হন।

যানজটে আটকে থাকায় গাড়ি থেকে নামতে হয় তাঁকে: আমরা সবাই জানি যে, মার্সিডিস বেঞ্জ সমগ্ৰ বিশ্বজুড়ে তার বিলাসবহুল গাড়িগুলির জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তবে, এবার মার্সিডিজ ইন্ডিয়ার CEO নিজেই ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন যে, তীব্র যানজটে আটকা পড়ে গাড়ি ছেড়ে তিনি অটোতে উঠে পড়েন। পাশাপাশি এই সংক্রান্ত একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “যানজটে আটকে থাকার কারণে আমাকে গাড়ি থেকে নামতে হয়েছে। কয়েক কিলোমিটার হেঁটে অটোরিকশা ধরে গন্তব্যে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি।”

উঠেছে কমেন্টের ঝড়: জানা গিয়েছে, মার্সিডিজের S-class গাড়িটিতে চেপে পুণের রাস্তায় সফর করছিলেন তিনি। কিন্তু, রাস্তায় যানজট থাকায় তিনি গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। এদিকে, তাঁর এই পোস্ট দেখেই নেটিজেনদের মধ্যে কমেন্টের ঝড় উঠতে শুরু করে। বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন তাঁরা। অনেকে তাঁর এহেন সিদ্ধান্তের প্রশংসা করলেও বেশ কিছুজন আবার মজাদার মন্তব্যও করেন।

এই প্রসঙ্গে একজন মজার ছলে লিখেছেন, “আমি হলে S-class-এ বসে থেকেই তার মজা উপভোগ করতাম।” পাশাপাশি,আরেকজন লিখেছেন, “আপনি বিষ্ময়কর কাজ করেছেন।” এদিকে, অন্য আরেকজন মার্টিন শোয়েঙ্ক-এর প্রশংসা করে জানিয়েছেন, “আপনি সত্যিই মাটির মানুষ।” উল্লেখ্য যে, তাঁর পোস্ট করা ভাইরাল ছবিটিতে দেখা গিয়েছে যে, একটি অটোর পেছনের সিটে বসে রয়েছেন তিনি।

২০১৮ থেকে রয়েছেন CEO পদে আসীন: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০১৮ সাল থেকে মার্সিডিজ বেঞ্জ ইন্ডিয়ার CEO পদে আসীন রয়েছেন মার্টিন শোয়েঙ্ক। এর আগে, তিনি মার্সিডিজ বেঞ্জ চিনের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মূলত, তিনি ২০০৬ সাল থেকে এই সংস্থার সাথে যুক্ত রয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর