ফের বড় সাফল্য! এবার পুলওয়ামায় এবং কুলগামে নিকেশ চার সন্ত্রাসবাদী! উদ্ধার হল একে ৪৭

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভূস্বর্গে ফের একবার জঙ্গি দমনে বড়সড় সাফল্য মিলল। জানা গিয়েছে যে, এবার দক্ষিণ কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী দু’টি পৃথক এনকাউন্টারে চার সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করতে সফল হয়েছে। মূলত, গত শুক্রবার কুলগামে সংঘটিত এনকাউন্টারে একজন হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি নিহত হয়। পাশাপাশি, আজ ভোর পর্যন্ত পুলওয়ামায় মোট তিনজন সন্ত্রাসবাদীকে খতম করা হয়েছে। নিহতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র এবং কিছু আপত্তিকর উপাদান।

পাশাপাশি, পুলওয়ামা এনকাউন্টার প্রসঙ্গে কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জনিয়েছেন যে, “নিহত তিন সন্ত্রাসবাদী প্রত্যেকেই স্থানীয়। তারা জঙ্গি সংগঠন লস্করের সাথে যুক্ত। তাদের মধ্যে একজনের নাম জানা গিয়েছে জুনায়েদ শিরগোজরী। সে গত ১৩ মে আমাদের সহকর্মী শহীদ রিয়াজ আহমেদকে হত্যার সাথে জড়িত ছিল। অন্য দু’জনের নাম হল ফাজিল নাজির ভাট এবং ইরফান আহ মালিক। তাদের কাছ থেকে দু’টি একে ৪৭, রাইফেল এবং একটি পিস্তল সহ অপরাধমূলক সামগ্রী, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে কুলগামের খান্দিপোরা এলাকায় আতঙ্কবাদীদের উপস্থিতির খবরে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। ঠিক সেই সময়ে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চালাতে থাকে। তার উত্তর দিতে থাকে নিরাপত্তারক্ষীরাও। এমতাবস্থায়, রাতভর এনকাউন্টারে হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য রাশিক আহমেদকে নিকেশ করা সম্ভব হয়। পাশাপাশি, তার কাছ থেকে পাওয়া যায় থ্রি নট থ্রি রাইফেল, পিস্তল এবং হাতবোমা।

অপরদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় পুলওয়ামা জেলার দ্রাবগামে আতঙ্কবাদীদের উপস্থিতির খবরে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেই সময় লুকিয়ে থাকা অবস্থায় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলি চালিয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করলেও সজাগ সেনারা তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। এমনকি, করা হয় এনকাউন্টারও। আপাতত নিরাপত্তা বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে।

পিস্তলসহ দু’জন গ্রেফতার:
এদিকে, ডোরু ব্লকে চেকিংয়ের সময় পিস্তল সহ মোট দুই জনকে গ্রেফতার করেছে অনন্তনাগ পুলিশ। জানা গিয়েছে, তারা মাহমুদাবাদের বাসিন্দা। তাদের নাম রাহিল আহমেদ মালিক ও শাব্বির আহমেদ রাথার। তল্লাশিকালে তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর