আগামী সপ্তাহ থেকেই দেশে কমবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, বলছে সমীক্ষা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশের মানুষের জন্য একটি সুখবর কানে এসেছে, এই খবর সবার ওপরেই একটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মিশিগান ইউনিভার্সিটির (University of Michigan) অধ্যাপক ব্রক্ষহর মুখার্জী (Barkahar Mukherjee) জানিয়েছেন সম্প্রতি তারা একটা সমীক্ষা করেছে আর সেখানেই দেখা গেছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম হয়ে যাবে। ইনফেক্টেড ও রিমুভড এই পরীক্ষার ধাপ, আর সেখানেই এই রেজাল্ট, যা ভারতের জন্য আশার আলো।

তিনি জানিয়েছেন এই যে ২১ দিনের লকডাউন (lockdown) দেশে চলছে , আরও মেয়াদ বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা চলছে, সেটা যদি মানুষ মেনে চলে মানুষ যদি ঘর থেকে না বের হয়, সাথে স্যোশাল ডিসটেন্সিং মেনে চলে তাহলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই দেশের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে।

এদিকে আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপীকা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত লকডাউনের জেড়ে মানুষ ঘরের মধ্যেই আছে, কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় দেখা গেছে এই লকডাউনকে মানুষ সিরিয়াস ভাবে গ্রহণ করছে না। এই দিকে এবার থেকে লক্ষ্য রাখতেই হবে। তাই আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন অনেক রাজ্যেই লক ডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এখনও চূড়ান্ত কিছুই ঘোষণা করেনি। তবে আগামীকালের মধ্যেই ঘোষণা করে দেওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে।

সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ১৪ এপ্রিলের পরেও আরও দুই সপ্তাহ চলবে লকডাউন। ২৫ মার্চ করোনা মহামারিকে রুখতে শুরু করা হয়েছিল লকডাউন। আশা করা যাচ্ছিল ২১ দিনের লকডাউনেই কার্যকরী হবে লড়াই। রুখে দেওয়া যাবে মহামারিকে। কিন্তু তা হয়নি, দেশে এখনও ক্রমে বেড়ে চলেছে সংখ্যা ফলে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্তে হেঁটেছে অনেক রাজ্য।

এদিকে আবার বিশেষজ্ঞরা আলাদা কথা বলছে। তারা জানিয়েছে ভারত জনবহুল দেশ। তাদের এই করোনা থেকে বাচতে লক ডাউনের সাথে সাথে স্যোশাল ডিস্ট্যান্সিং (Social Distancing) মেনে চলতেই হবে, এটাকে না মানলে কোনো ভাবেই লাভ হবে না। তাই আগামী ১লা জুন পর্যন্ত তারা লক ডাউনের চিন্তা ভাবনা করছে। এদিকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লক ডাউনের ঘোষণা করতে পারে সরকার, এমন টাই জানা গেছে। গত লকডাউন হয়েছিল ২৫ মার্চ, যা আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বহাল থাকবে, তার পরেই হয়ত আবার ১৬ দিনের লক ডাউন দেশে। এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮,৩৫৬ জনের মতো, যার মধ্যে ২৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর