বিকলাঙ্গ তবে ভিখারি নন! চিনে নিন ভারতের প্রথম হুইলচেয়ারে আসীন ফুড ডেলিভারি বয়কে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কার ভাগ্যে কি লেখা রয়েছে তা বলতে পারেন না কেউই! তবে জীবনের চলার পথে আসা সমস্ত বাধা এবং প্রতিকূলতাকে দূরে সরিয়ে রেখেই যাঁরা এগিয়ে যেতে পারেন তাঁরাই তৈরি করেন এক হার না মানা জীবনযুদ্ধের কাহিনি। আর যা অনুপ্রাণিত করে সকলকে। সেই রেশ বজায় রেখেই চেন্নাইয়ের গণেশ মুরুগানও, এমন একজন ব্যক্তি যিনি তাঁর সাথে ঘটে যাওয়া “চরম সত্য”-কে মেনে নিয়েই নতুন উদ্যমে জীবনের যাত্রা শুরু করেছেন।

   

মূলত, কয়েক বছর আগে একটি ট্রাকের সাথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন গণেশ। কিন্তু, থেমে থাকেননি তিনি। বরং, শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই তিনি নেমে পড়েছেন কর্মক্ষেত্রে। শুধু তাই নয়, তিনি হয়েছেন এক বিরল কৃতিত্বের অধিকারীও। আপাতত, গণেশ দেশের প্রথম হুইলচেয়ারে আসীন ফুড ডেলিভারি ম্যান হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। তিনি একটি মোটর চালিত হুইলচেয়ারের সাহায্যে খাবার ডেলিভারি করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে food.ndtv.com-এর একটি খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ৩৭ বছর বয়সী গণেশ মুরুগানের এই প্রসঙ্গটি আইপিএস অফিসার দীপাংশু কাবরা তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি, ওই টুইটে তিনি আরও জানিয়েছেন যে, গণেশের ওই টু-ইন-ওয়ান মোটর চালিত হুইলচেয়ারটি আইআইটি মাদ্রাজের একটি স্টার্ট-আপ দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে।

এই হুইলচেয়ারে একটি পুশ বোতাম রয়েছে। যা তার মোটর থেকে হুইলচেয়ারটিকে আলাদা করে দেয়। এমনকি, তারপর সেটিকে একটি সাধারণ হুইলচেয়ার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। সবচেয়ে বড় বিষয় হল, এই হুইলচেয়ারের সাহায্যে গণেশ উঁচু বিল্ডিং এবং অন্যান্য জায়গাতেও খুব সহজেই খাবার নিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন।

এছাড়াও, দীপাংশু তাঁর টুইটে আরও জানান যে, এই ব্যাটারি চালিত হুইলচেয়ারটি চার্জ হতে প্রায় চার ঘন্টা সময় নেয় এবং এটি ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। উল্লেখ্য যে, আইআইটি মাদ্রাজের স্টার্ট-আপটি এখনও পর্যন্ত প্রায় ১,৩০০ টি হুইলচেয়ার তৈরি করেছে। পাশাপাশি, মুরুগানের প্রশংসা করে তিনি লিখেছেন যে, “গণেশ মুরুগান সেই সকলের জন্য অনুপ্রেরণা, যাঁরা প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করার পরিবর্তে হাল ছেড়ে দেন”। এদিকে, গণেশের এই খবর সামনে আসতেই তাঁর লড়াকু মানসিকতাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলেই।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর