মূর্তি বিসর্জন ব্যান না করে, নতুন পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে গঙ্গার জলকে শুদ্ধ রাখছে সরকার

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিশেষ করে হিন্দু ধর্মে ঠাকুর জলে বিসর্জন দেওয়ার একটা আলাদা রীতি রয়েছে। যেমন দুর্গা পুজো গণেশ পুজো সহ অন্যান্য পুজোর পর ঠাকুর বিসর্জন দিলে গঙ্গা এবং অন্যান্য জলাশয়ে ভাসান দেওয়া হয়। আর এ ভাবে বছরের পর বছর ঐতিহ্য বাঁচাতে গিয়ে প্লাস্টার অফ প্যারিস এবং কৃত্রিম রঙের মতো আরও কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক জলে মিশে আর এ ভাবেই জল দূষণ হচ্ছে। তাই তো ইতিমধ্যেই জলেই ঠাকুর বিসর্জন দেওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

আসরে এই সমস্ত ক্ষতিকারক পদার্থের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অন্যান্য দিক থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর এ ভাবেই আসতে আসতে জলাশয়গুলি যেন নোংরা আবর্জনার স্তূপে পরিণত হচ্ছে। তাই তো বছরের পর বছর প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। বর্তমানে গণেশ চতুর্থীর পর ঠাকুর বিসর্জনের নিয়ম আস্তে আস্তে তুলে দেওয়া হয়েছে যমুনা নদী থেকে।

জাতীয় সবুজ ট্রাইব্যুনালের তরফ থেকে আদেশ পাওয়ার পর যমুনা নদীর তীরে একটি সীমারেখাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তরফ থেকে একটি পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে তারপর তথ্য প্রমাণ প্রকাশ্যে আনা হয়েছে যেখানে দেখানো হয়েছে গত কয়েক বছর ধরে এই গণেশ চতুর্থী এবং দুর্গাপুজোর সময় যমুনা নদীতে ঠাকুর বিসর্জনের ফলে ক্রোমিয়াম সিসা নিকেল এবং পারদের ঘনত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।

তার পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে গঙ্গা নদী এবং যমুনা নদীতে প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা এর তরফ থেকে দশেরা দিওয়ালি এবং ছট পূজা ও সরস্বতী পূজোর সময় গঙ্গায় বিসর্জন করার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে এসবের ফলে আদতে কিন্তু প্রতিমা বিসর্জনের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে কিন্তু তার বদলে বিকল্প ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। তাই সাময়িক ভাবে ঠাকুর বিসর্জনের জন্য অস্থায়ী ভাবে পুকুর তৈরি করে সেটি ব্যবহার করতে বলা হয়েছে ।

সম্পর্কিত খবর