একেবারে মাটির মানুষ! বিমানে বসে পাঁচ টাকার বিস্কুট চায়ে ডুবিয়ে খাচ্ছেন কোটিপতি রাহুল ভাটিয়া

বাংলাহান্ট ডেস্ক : যুগ যুগান্তর থেকে পার্লে-জি এমন একটি নাম যা আমাদের হৃদয়ে বাস করছে। স্কুলের টিফিন হোক কিংবা সকাল বেলার বেড টি, সব ধরনের আকাঙ্ক্ষা মেটানোর জন্য প্রস্তুত এক প্যাকেট ছোট্ট এই বিস্কুটটি। সময়ের সাথে আকারে পরিবর্তন হয়েছে পার্লে-জি এর। প্যাকেট বিস্কুট সংখ্যা কমেছে, হ্রাস পেয়েছে ওজন, কিন্তু এখনো এই বিস্কুট বিক্রি হয় মাত্র ৫ টাকায়।

এবার এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স এর সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাহুল ভাটিয়া ফ্লাইটে বসেই এক কাপ চায়ের সাথে পার্লে-জি বিস্কুট ডুবিয়ে খাচ্ছেন। রাহুল ভাটিয়া ভারতবর্ষের অন্যতম কোটিপতি বিত্তশালী মানুষদের একজন। কোটিপতি রাহুল ভাটিয়া একটি এয়ার ইন্ডিয়ার সাধারন কাপে চা খাচ্ছেন এবং তার সামনে রাখা একটি পাঁচ টাকা দামের পারলে জি বিস্কুট।এই ছবি মুহুর্তে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ এই ছবি দেখে বলছেন এর থেকে স্পষ্ট ধনী হোক বা দরিদ্র, পার্লে-জি সবার কাছে কতটা প্রিয়।
ফোর্বস এর মতে, রাহুল ভাটিয়া ও তার বাবা কপিল ভাটিয়া সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪.৭ বিলিয়ন ডলার বা ৩৮ হাজার কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত পার্লে-জি ভারতের প্রত্যেকটি পরিবারের এক অতি পরিচিত বিস্কুট ব্র্যান্ড। মাত্র পাঁচ টাকার প্যাকেটে গ্লুকোজ সম্বলিত এই বিস্কুটটি মানুষের কাছে যুগ যুগ ধরে অতি পরিচিত। ২০২০ সালের লকডাউনে রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করে পার্লে-জি। যা ভেঙে দেয় গত ৮২ বছরের রেকর্ড।

১৯২৯ সালের প্রতিষ্ঠা হয় পার্লে-জির। সেই সময় বিদেশি দ্রব্য বর্জন ও স্বদেশী দ্রব্য গ্রহণের অঙ্গীকার নিয়ে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে মোহন লাল দয়াল আরও ১২ জনের সাথে মুম্বাইয়ের ভিলে পারলেতে এই কারখানার সূচনা করেন। ধারণা করা হয় জায়গার নাম থেকেই এই বিস্কুট কোম্পানির নাম পার্লে হয়েছে। আর গ্লুকোজ সংমিশ্রনে থাকায় পার্লের পর গ্লুকোজের “জি” ব্যবহার করা হয়।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর