গুজরাত, মধ্যপ্রদেশকে হাতিয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে কোমর বেঁধেছে তৃণমূল

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা নিয়ে লাগাতার আক্রমণের মুখে এবার বিজেপিকে (BJP) পালটা দেওয়ার ছক করছে তৃণমূল (TMC)। আর সেজন্য বিজেপি শাসিত গুজরাত (Gujarat)  ও মধ্য প্রদেশের ( Madhya Pradesh) করোনা পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করতে চলেছে তারা।

   

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘুরে দাঁড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে পালটা প্রচার শুরু করতে চলেছে তৃণমূল। বিজেপিকে আক্রমণের রণকৌশল ঠিক করতে রবিবার রাত থেকে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দলের রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোরের একাধিক বৈঠক হয়েছে। সোমবার দলীয় সূত্রের এমন খবরই মিলেছে। সেই বৈঠকে গুজরাত ও মধ্য প্রদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপিকে পালটা চেপে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন প্রশাসন্ত কিশোর। রবিবার পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩,৬১৪। গুজরাতে সংখ্যাটা ৮,১৯৫।

রাজ্যে করোনা মোকাবিলা নিয়ে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রাজ্য সরকারকে লাগাতার আক্রমণ করছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, করোনা মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ রাজ্য সরকার। সংক্রমণ রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ করার বদলে ছবি তুলে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে করোনায় মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখাতে তৈরি করা হয়েছে ডেথ অডিট কমিটি। এছাড়া কেন্দ্রের থেকে আসা চাল-ডাল ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে না গরিব মানুষের কাছে। করোনা ভাইরাস ক্রমেই যেন আরও জাঁকিয়ে বসছে দেশে। এখনও পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান সোমবারই দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অথচ সংক্রমণ যাতে কম ছড়ায় তার জন্যেই ২৫ মার্চ থেকে টানা লকডাউনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ।

সরকারি পরিসংখ্যান মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন শিকার হয়েছেন ৪,২০০ জন রোগী এবং মারা গেছেন ৯৭ জন। এর আগে, একদিনে একসঙ্গে এতজন কোভিড- ১৯ এর কবলে পড়েননি। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে কোভিড- ১৯ রোগের কবলে পড়েছেন মোট ৬৭,১০০ জন, ওই রোগের সঙ্গে যুঝতে না পেরে মারা গেছে মোট ২,২০৬ জন। তবে দেশে করোনা আক্রান্ত যেমন বাড়ছে তেমনই বাড়ছে ওই রোগ থেকে পুনরুদ্ধারের হারও। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, যেখানে গত রবিবার দেশে সেরে ওঠা রোগী ছিল ২৬.৫৯ শতাংশ, সেখানে তা এখন বেড়ে হয়েছে ৩১.১৪ শতাংশ।

এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan) রবিবার জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ১০ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোনও নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি, যা অনেকটাই স্বস্তির।

সম্পর্কিত খবর