গুরুং-এর আগমনে ১২-এর মধ্যে নিশ্চিত ৭, উত্তর দখলের স্বপ্ন বুনছে মমতার দল

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পাহাড় থেকে বিমল গুরুং (Bimal Gurung)-এর তৃণমূলে যোগদানে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ে এবার একুশে গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত বাংলার সবুজ শিবির।

   

গুরুং-এর দল বদল
গত লোকসভা নির্বাচনে পাহাড়-তরাইয়ে ছেয়ে গিয়েছিল গেরুয়া আভা। বিমল গুরুং-এর ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েই পাহাড়-তরাই ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি শিবির। কিন্তু এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বেই গুরুং-এর দল বদলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। তৃণমূলের পাল্লা ভারী করতে এবার সেই দলেই নাম লেখালেন বিমল গুরুং।

পাহাড়-তরাই দখলের স্বপ্নে মমতা বাহিনী
বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল শিবিরে বিমল গুরুং যোগদান করার ফলে আসন্ন নির্বাচনে পাহাড়-তরাইয়ে তৃণমূলের ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে। পাহাড়-তরাই মিলিয়ে সেখানকার মোট ১২ টি আসনে বিরাজ করছেন গুরুং হাওয়া। ১২ টির মধ্যে থেকে ৭ টি আসন নিয়ে বিমলের দল বদলের সঙ্গে সঙ্গেই নিশ্চিত হয়েছে সবুজ শিবির। আর বাকি রইল ৫ টি আসন, সেগুলোতেও নিজেদের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে বেশি সময় লাগবে না মমতা বাহিনীর।

রাজনৈতিক গুঞ্জন
একটা সময় পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিকের খুনের ঘটনায় তৃণমূল সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাও করেছিল এই বিমল গুরুং-র নামে। তারপর যখন বিভিন্ন মামলায় তাঁর নাম জড়িয়ে পড়ে, লোকসভা ভোটের সময়েও প্রকাশ্যে আসতে পারেননি ফেরার ছিলেন, তখন রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন উঠেছিল বিজেপির আশ্রয়ে রয়েছেন বিমল গুরুং।

ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে
সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বুধবার কলকাতার অভিজাত হোটেলে বসে সাংবাদিক বৈঠকে বিমল গুরুং জানালেন, ‘দীর্ঘ ১২ বছর ধরে লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন করে আমি কি পেলাম? গোর্খাল্যান্ডের দাবির স্থায়ী সমাধানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী, অমিত শাহ কোন কিছুই করেননি। কিন্তু মমতা ব্যানার্জী পাশে ছিলেন। তাই আমি এই মুহুর্ত থেকেই এনডিএ ছাড়ছি। পাশাপাশি আপনাদের কাছে অঙ্গীকার বদ্ধ হচ্ছি, তৃণমূলের সঙ্গে জোট বেঁধে একুশের বিধানসভা ভোটে মমতা ব্যানার্জীর হয়ে লড়ব। আবার সেই সঙ্গে গোর্খাল্যাণ্ডের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের কাজও চালিয়ে যাব’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর