গুটখার থুতুই এখন রেলের কাছে “মাথাব্যথা”! পরিষ্কার করতে খরচ হচ্ছে ১২০০ কোটি টাকা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশের প্রতিটি অংশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং দূষণমুক্ত রাখতে বর্তমান সময়ে দেশজুড়ে “স্বচ্ছ ভারত অভিযান” (Swachh Bharat Abhiyan) চালানো হচ্ছে। কিন্তু, তাও, কোথাও না কোথাও মানুষের মধ্যে সার্বিক সচেতনতার অভাব থেকেই যাচ্ছে। এমনিতেই গুটখা খেয়ে যেখানে সেখানে থুতু ফেলার বিষয়টি আমরা সকলেই প্রত্যক্ষ করেছি। তবে, এই ঘটনাই এবার রেলের কাছে “মাথাব্যথা” হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, এই থুতু পরিষ্কার করতে বিপুল খরচও হচ্ছে রেলের। যে হিসেব শুনলে চক্ষু চড়কগাছ হবে সকলেরই। জানা গিয়েছে, শুধু থুতু পরিষ্কার করতে গিয়েই রেলকে ১,২০০ কোটি টাকা খরচ করতে হয়।

বিজ্ঞাপনেও খরচ হচ্ছে: এমতাবস্থায়, যাত্রীদের সচেতন করতে রেল এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন উপস্থাপিত করছে। আর তাতেও বাড়ছে খরচের পরিমান। মূলত, রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কাছে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যেখানে-সেখানে থুতু না ফেলার জন্য আবেদন জানাচ্ছে। যদিও, তারপরেও সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। আর সেই কারণেই রেলকে থুতুর দাগ পরিষ্কার করতে গিয়ে বছরে ১,২০০ কোটি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এছাড়াও, এই কারণের জন্যই রেলের জলের দামও বেড়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, রেল চত্বরে এইভাবে থুতু ফেলার ঘটনা কমাতে ইতিমধ্যেই ৫০০ টাকার জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রেলের পরিকল্পনা ঠিক কি: এই সমস্যা মোকাবিলায় ভারতীয় রেল এখন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। মূলত, ওয়েস্টার্ন, নর্দার্ন এবং সেন্ট্রাল, এই তিনটি রেলওয়ে জোন এবার “Ezyspit” নামের একটি স্টার্টআপের সাথে এই অসুবিধা থেকে মুক্তি পেতে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই কোম্পানির মাধ্যমে যাত্রীরা বায়োডিগ্রেডেবল থুতু ফেলার পাউচ (Spitoon Pouch) কিনতে পারবেন।

পাশাপাশি, এই পাউচটি আপনি আপনার পকেটেও রাখতে পারেন। বিভিন্ন সাইজে উপলব্ধ এই থুতু ফেলার পাউচটিকে আপনি একাধিকবার ব্যবহার করতে পারেন। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা ব্যবহার করার পর থুতু জমাট বেঁধে যাবে। অর্থাৎ, এর ফলে থুতু পড়ে যাওয়া বা ময়লা ছড়ানোর মত ঝামেলা থাকবে না। সর্বোপরি, এটি একটি ইকো-ফ্রেন্ডলি পাউচ হবে। আর এর সাহায্যেই যাত্রীরা রেল চত্বর বা ট্রেনে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সক্ষম হবেন।

এই প্রসঙ্গে EzySpit-এর তরফে টুইট মারফত জানানো হয়েছে যে, ​​একসাথে একাধিক দূষণ সমস্যাগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসাবে বিকশিত হয়েছে। পাশাপাশি, এটি সবার অলক্ষ্যেই একটি উল্লেখযোগ্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। কারণ এটি জল এবং টাকা সাশ্রয় করে সবুজ যোগ করেছে এবং পৃথিবীকে বায়ুবাহিত রোগ থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম হবে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর