পশ্চিমবাংলার হলদিয়ার কান্ড হায়দ্রাবাদের থেকেও নৃশংস, জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে মা ও মেয়েকে ! বলছে রিপোর্ট

গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি হলদিয়ার (Haldia) ঝিকুরখালি নদী থেকে উদ্ধার হয় দুই মহিলার দগ্ধ দেহ। দুই মহিলা সম্পর্কে মা ও মেয়ে। তাঁদের হলদিয়াতে ডেকে এনে অচৈতন্য অবস্থায় গায়ে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। রবিবার মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনকে (Sheikh Saddam Hussein) গ্রেফতার করার পর এমনটাই জানান পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখার্জী।

   

মাস খানেকের থেকে একটু বেশি হবে, তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দ্রাবাদে এক মহিলা পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করার পর জ্যন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছিল মানুষ রুপি কিছু পশু। হায়দ্রাবাদ পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে, এবং তাঁরা পালাতে চেষ্টা করলে তাঁদের এনকাউন্টার করে মেরে ফেলে।

হায়দ্রাবাদে ধর্ষণের পর জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার ওই ঘটনায় শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছিল গোটা দেশ। এরপর পুলিশের এনকাউন্টের পর মানুষের মনে কিছুটা হলেও স্বস্তি এসেছিল। ওই ঘটনার পর থেকেই সমস্ত ধর্ষকদের এনকাউন্টার করে মারার জোরালো দাবি জানায় জনতা।

হায়দ্রাবাদের রেষ কেটে উঠতেই সেরকমই নৃশংসতার ছবি দেখা গেলো পশ্চিমবঙ্গে। হলদিয়ার এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন আর মঞ্জুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির দাবি সাদ্দাম হোসেন শাসকদল তৃণমূলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ। এবং গত লোকসভা নির্বাচনে সাদ্দাম হোসেন শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে ভোট লুঠ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছিল।

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির তরফ থেকে সাদ্দাম হোসেন আর মনজুলের ফাঁসির দাবিতে বিজেপির তরফ থেকে মিছিল করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর রাজ্যে আবার নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন জেগে উঠেছে। বিজেপির অভিযোগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা আর ওনার দলের লোকই এমন নৃশংস কাণ্ড ঘটাচ্ছে, তাহলে রাজ্যে মহিলাদের পরিস্থিতি কতটা করুন হতে পারে।

Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর