হনুমান জয়ন্তীঃ সঠিক নিয়ম মেনে করুন পূজো, পাবেন বল,বুদ্ধি ও বিদ্যা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পবন এবং অঞ্জনী পুত্র হনুমান(Hanuman) বাল্যকাল থেকেই প্রবল শক্তিধারী ছিলেন। তিনি ছোটো থেকেই খুবই চঞ্চলা প্রকৃতির বালক ছিলেন। তাঁর এই চঞ্চলা এবং ক্ষমতা ছোটবেলায় বারংবার প্রকাশের জন্য তাঁকে অভিশাপ পেতে হয়। তাঁকে বলা হয়েছিল, ভবিষ্যতে তাঁর শক্তি সম্পর্কে তাঁকে যদি কেউ স্মরণ করিয়ে দেয়, তাহলে তিনি আবার তাঁর সেই অসীম শক্তি ফিরে পাবেন।

ea76e bajrang bali hanuman

 

সংসারের সংকট মোচন হিসাবে স্মরণ করা হয় মহাবলি হনুমানকে। রামভক্ত হনুমানের কথা রামায়ণে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। মা সীতাকে উদ্ধার করা থেকে রামের প্রিয় ভক্ত রূপে হনুমানের নাম সবার আগে আসে। বিভিন্ন দেবতার জন্য যেমন বিভিন্ন দিন নির্ধারণ করা থাকে, তেমনই আজ কিন্তু হনুমান জয়ন্তী। প্রত্যেক বছর মহা ধুমধাম সহকারে এই দিনটি পালন করা হয়। তবে এবছর করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণে এই আড়ম্বর পূর্ন জাকজমকে  কিছুটা হলেও ক্ষামতি দেখা দেবে।

আবার প্রতি মঙ্গলবার এবং শনিবার করেও অনেকে হনুমাল চল্লিশা পাঠ করেন, আর সেই দিন তারা নিরামিশ খেয়ে থাকেন। প্রতিদিন স্নান করে উঠে হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে পাপের বিনাশ সম্ভব, সেইসঙ্গে দুরাত্মাকে বিতাড়িত করা সম্ভব। হনুমানজিকে সবসময় শক্তির উতস হিসেবে পূজো করা হয়। আর নানান বিপদ থেকে বাচতে মন্দিরে যান পুজো দিতে। শোনা যায়, প্রতিদিন যদি বিশেষত রাতের বেলা হনুমান চল্লিশা পাঠ করেন, শনির প্রভাব যদি জীবনের ওপর পড়ে, তাহলে সংসারে কারো কোনও মঙ্গল হতে পারে না।

Hanuman Bhagwan Pics

আর এই কথা ভেবে খারাপ প্রভাব থেকে মুক্ত হতে নিয়মিত হনুমান চল্লিশা পাঠ করেন অনেকেই। ওনেকের জীবনে খারাপ দশা চলে। অর্থাৎ শনির দশা চলে। তখন এর মন্ত্র জপে জীবনের ওপর থেকে শনির দশা দূর হতে শুরু করবে এবং জীবনে শান্তি নেমে আসবে। সৌভাগ্য ফিরে আসে।

rama hanuman

তবে আজ যেহেতু হনুমান জয়ন্তী, তাই আজকের দিনে একটু অন্যভাবে মহাবলি হনুমানের পূজা করা হয়। আজ সকালে স্নান সেরে লাল বা কমলা রঙের বস্ত্র পরিধান করে শুদ্ধ চিত্তে হনুমানজির পূজা করা উচিত। হনুমানজিকে সন্তুষ্ট করতে পারলে সংসারের সমস্ত সংকট দূর হয়ে যাবে। হনুমানজির জন্য জেসমিন তেলের সঙ্গে কমলা সিঁদুর মিশিয়ে আরাধনা করতে হয়। জেসমিন তেল আবার হনুমানজির খুবই প্রিয়। তাই এই তেলের প্রদীপ জ্বালালেও হনুমানজি সন্তুষ্ট হন। লাড্ডু হনুমানের খুব প্রিয় খাবার। তাই পূজার প্রসাদ হিসাবে লাড্ডু রাখলে ভালো হয়। মহাশক্তির আধার হিসাবে তুলসি পাতাও দেওয়া যেতে পারে হনুমানের পূজায়। তবে শ্রীরাম লেখা পতাকা রাখবেন ভগবানের সামনে তাহলে সমস্তা ঝামেলা ঝঞ্ঝাট দূর হয়ে যাবে। এবং অবশ্যই করে পূজার অন্তে রাম নাম জপ করতে হবে। তাহলেই আপনার সংসারে আসবে সুখ শান্তি।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর