পরাজয়ের দায় স্বীকার করে আবেগাপ্লুত হলেন হরিশ রাওয়াত, চাইলেন ক্ষমা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াতের পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা শুরু। হরিশের হারকে উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেস পার্টির জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ছাড়াও তিনি অনেক বিষয় তুলে ধরেছেন তা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের ভরাডুবির মধ্যে এটি এক অন্য মাত্রা দিলো তা বলা যায়।

মুখ খুলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত। তিনি বলেন,”আমি পরবর্তী কী করব তা বলা খুব তাড়াতাড়ি, তবে আমি যাই করি না কেন কিন্তু আমাদের আবার নতুন ইনিংস শুরু করতে হবে।” আপাতত তিনি পরাজয়ের দায় স্বীকার করেন। দলের তরফে হরিশ রাওয়াতকে নির্বাচনী প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছিল এবং অঘোষিতভাবে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদের মুখও ছিলেন, কিন্তু এবারও বিজেপির ঝড়ে লালকুয়ান বাঁচাতে তিনি পারেননি।

তিনি 2017 সালে দুটি আসন থেকে তার হারের প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন কিন্তু শেষপর্যন্ত সফল হতে পারেননি। যদি তাঁর কথা শোনা হয়, তবে তার দ্বারা উত্থাপিত বিষয়গুলি উত্তরাখণ্ডের জনগণের প্রশ্ন কিনা তা নিয়ে দলের কাছে চিন্তাভাবনা করার সময় এসেছে বলে মনে করছে সকলে। হরিশের মতে, কর্মসংস্থান ও দুর্নীতি প্রসঙ্গ বড় প্রসঙ্গ। আবার তিনি রাজ্যে একত্রীকরণের কথাও বলেছিলেন।

লালকুয়ান বিধানসভা আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত পরাজয়ের পরে নেট মাধ্যমে একটি আবেগময় বার্তা লেখেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি লালকুয়ান এলাকার মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী যে আমি তাদের আস্থা অর্জন করতে পারিনি এবং আমি তাদের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা পূরণ করার সুযোগ হারিয়েছি।’

তিনি জনগণ ও পার্টির সুর গেয়ে বলেন, ‘খুব অল্প সময়ে আপনারা আমার দিকে হাত বাড়াতে চেয়েছিলেন কিন্তু আমি সেই হাতের সান্নিধ্যে আসতে পারলাম না।’ কংগ্রেসের লোকেরা তাঁর দুর্বলতা ঢাকতে এবং তাঁর প্রতি জনগণের আস্থা তৈরি করতেও বহু পরিশ্রম করেছিল বলে জানান তিনি।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর