ভারত মাতার জয় বললে তবে এদেশে থাকুন: হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী

শনিবার থেকে অশান্তির কারনে উত্তপ্ত দিল্লি। উগ্রবাদী CAA বিরোধী কট্টরপন্থীদের রোষ থেকে বাদ যাচ্ছে না কেউই। এই অশান্তির আগুন কিভাবে কমানো সম্ভব হবে তাও এখন বলা মুশকিল। পরিস্থিতি যে দিকে আস্তে আস্তে এগোচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে যে অশান্তির আচ আস্তে আস্তে অন্য রাজ্যগুলিতেও ছড়িয়ে পরতে পারে। কিন্তু এই নিয়ে ইতিমধ্যে ততপরতা দেখিয়েছে দিল্লি প্রশাসন।

CAA বিরোধীদের মূলত টার্গেট হয়ে উঠেছে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী। আর এর মধ্যে হিমাচলে বাজেট অধিবেশনের শুরুতে এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন জয় রাম ঠাকুর।এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁরা ভারত মাতা কি জয় বলবেন, তাঁরাই ভারতে থাকবেন।  আর যারা নাকি (ভারত মাতা কি জয়) বলবেন না, সংবিধানের সম্মান করবেন না, ভারতের বিরোধিতা করবেন, তাঁদের নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করার সময় এসেছে।গত কাল আবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলে  “যারা পুলিশকে পাথর মারছে, তাঁদের সঙ্গে আরও কড়া আচরণ করা উচিত।” আর এতেই বাধে বিতর্ক। এখানেই শেষ নয় পাশাপাশি জামিয়া প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “জামিয়ায় পুলিশ ঢুকে দশজনকে গ্রেপ্তার করেছিল, তারা কেউ ছাত্র ছিল না। অথচ গোটা দেশে তুলকালাম হয়ে গেল। আর আজকে যখন তারাই আগুন জ্বালাচ্ছেন, তখন বিরোধী নেতারা দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন!

কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে প্রশাসনকে।” আর এই হিংসা , হানাহানির ঘটনার মধ্যে নিরিহ মানুষের প্রান গেছে। দিল্লিতে হিংসার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪, জখম হয়েছেন আরও ২৫০ জন।মোট ১০৬ জনকে গ্রেফতার ও ১৮টি এফআইআর করা হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর