হিন্দু ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু পাকিস্তানে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাকিস্তান থেকে আসছে অশান্তির খবর। কোথাও ভাঙা হচ্ছে মন্দির আবার কোথাও শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।চলছে সাম্প্রদায়িক টানাপোড়েন। কিছুদিন আগেই হিন্দু এক শিক্ষকের কাছ থেকে অন্য ধর্মকে অবমাননা করে খবর এসেছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক অশান্তি চরমে উঠেছিল।

   

এবার পাকিস্তানের হোস্টেল থেকে পাওয়া গেল হিন্দু ছাত্রীর দেহ। মঙ্গলবার হোস্টেলের ঘর থেকে নমৃতা চন্দানীর দেহ উদ্ধার হয়। নমৃতা ঘোটকি গ্রামের বাসিন্দা। ওই গ্রামেই কিছুদিন আগে মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে হস্টেলের বিছানা থেকে নমৃতার দেহ পাওয়া যায়। ওই হোস্টেলে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা ছিল। নমৃতার গলায় কাপড় বাঁধা ছিল। পুলিশের বক্তব্য এই ঘটনার সাথে খুনের কোন সম্পর্ক নেই এটি আত্মহত্যার ঘটনা।

নমৃতার ভাই বিশাল পেশায় একজন মেডিকেল কনসালটেন্ট। তার দাবি এটি আত্মহত্যার ঘটনা নয় নমৃতাকে খুন করা হয়েছে। নমৃতার গলার চারপাশে সরু কোনো জিনিসের দাগ রয়েছে। আত্মহত্যা হলে সেটি বোঝা যেত। এছাড়াও নমৃতার গলায় ও হাতে কিছু আঘাতের চিহ্ন থাকার দাবিও করেছে বিশাল।

নমৃতার ভাই বিশাল এর দাবি দুদিন আগেই নমৃতার সাথে তার কথা হয়েছে। ফোনে কথা বলে কোনরকম অস্বাভাবিক আচরণ দেখতে পাইনি বিশাল। নমৃতার মৃত্যুর ঘটনাকে অস্বাভাবিক দাবি জানিয়ে ঘটনার তদন্ত চেয়েছে নমৃতার পরিবার। নমৃতার পরিবারের ধারণা তার মৃত্যুর সাথে ধর্মান্তকরণের কোন যোগাযোগ থাকলেও থাকতে পারে।

পাকিস্তানের বর্তমানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তুঙ্গে উঠেছে। প্রায় শোনা যাচ্ছে কোনো না কোনো মেয়েকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা চলছে। এরকম অবস্থায় হিন্দু ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো ঘটনা থাকার ইশারা থাকতে পারে।

সম্পর্কিত খবর