হাতে আর মাত্র ছয় মাস, লাগু হচ্ছে CAA ! সময় চাইলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্র সরকারের সিএএ বা সিটিজেন অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ২০১৯ (CAA 2019) আসতে না আসতেই রীতিমতো বিরোধ শুরু হয়েছিল দেশজুড়ে। দিল্লি শাহীনবাগ থেকে শুরু করে আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ অবধি বিরোধে সরব হয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন স্তরের মানুষ। সেই সিটিজেন অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টেরই নিয়ম-নীতি ঠিক করার জন্য এবার রাজ্যসভা এবং লোকসভার কাছ থেকে ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি অবধি সময় চেয়ে নিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (home ministry)।

পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু এবং নির্যাতিত হিন্দু, পার্সী, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর এই বিল পার্লামেন্টে পাশ করে কেন্দ্র সরকার। ১২ ডিসেম্বর এই আইনের সহমত পোষণ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath kovind)। এই আইনের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ থেকে নির্যাতনের জেরে ভারতে চলে আসা সংখ্যালঘু নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে অনেক সুবিধা হবে বলেই জানানো হয়েছিল সরকার তরফে।

এবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই (Nityanand Rai) জানিয়েছেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯ এর নিয়ম নীতি নির্ধারণ করার জন্য প্রদেয় সময় রাজ্যসভা ও লোকসভার কমিটিগুলোকে ৯ জানুয়ারি ২০২২ অবধি বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ (Gaurav Gogoi) প্রশ্ন রেখেছিলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ম-নীতি নির্ধারণ করার জন্য কোন শেষ তারিখ দেওয়া হয়েছিল কি? তার উত্তরেই এই উত্তর দিয়েছেন রাই।

Rajya Sabha,Lok Sabha,CAA,home ministry,Amit Shah,Nityanand Rai,India,রাজ্যসভা,লোকসভা,সিএএ,ভারত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক,অমিত শাহ,নিত্যানন্দ রাই

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯ নিয়ে এর আগেও অনেক জটিলতা তৈরি হয়েছে। আর তাই এর নিয়ম নীতি নিয়ে কোনও রকম জটিলতা চায়না কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, সেই কারণেই সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। এও বলা হয়েছে, এই আইন অনুসারে যদি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে উল্লেখ্য তিন দেশ থেকে ভারতে আসা নির্যাতিত নাগরিকরা আর অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলে গণ্য হবেন না। কেউ যদি পিতা-মাতার ঠিকানা বা জন্মস্থান উল্লেখ করতে নাও পারেন। তাহলেও ৬ বছর ভারতে থাকার পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন তিনি।

 

Avatar
Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর