লুডো খেলায় নিজেকে বাজি রেখে হার, বাড়িওয়ালার সঙ্গে থাকতে বাধ্য গৃহবধূ! বিপাকে স্বামী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রতাপগড় জেলা থেকে। জানা গিয়েছে, সেখানে লুডো খেলতে গিয়েই নজিরবিহীন কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন এক গৃহবধূ। শুধু তাই নয়, তাঁর এহেন কাণ্ডে চরম বিপাকে পড়েছেন ওই গৃহবধূর স্বামী। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, রেণু নামের ওই গৃহবধূ তাঁর বাড়িওয়ালার সাথে লুডো খেলার সময়ে নিজেকে বাজি রেখেছিলেন। আর সেই খেলাতে হেরে গিয়েই বিপদ বাড়িয়েছেন তিনি।

শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে ওই গৃহবধূ প্রায়শই টাকা বাজি রেখে বাড়িওয়ালার সাথে লুডো খেলতেন। এমতাবস্থায়, দিন কয়েক আগে রেণু লুডো খেলায় এতটাই মত্ত হয়ে গিয়েছিলেন যে, তিনি সমস্ত টাকা খুইয়ে নিজেকেই বাজি রেখে দেন। ঘটনাচক্রে সেই খেলাতেও হেরে যান তিনি। এমতাবস্থায় তাঁর স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

   

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রেণুর স্বামী রাজস্থানের জয়পুরে কাজ করেন। কিন্তু, স্বামীর পাঠানো কষ্টার্জিত টাকা দিয়েই জুয়া খেলতেন ওই মহিলা। দিন দিন এই নেশা গ্রাস করেছিল তাঁকে। এমন পরিস্থিতিতে, সব টাকা হারিয়ে নিজেকে বাজি রাখার পর হেরে যাওয়ার ঘটনায় স্বামীকে ফোন করে পুরো ঘটনাটি খুলে বলেন তিনি।

এমতাবস্থায়, তাঁর স্বামী প্রতাপগড়ে এসে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি, এই ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন তিনি। রেনুর স্বামী ওই পোস্টে দাবি করেছেন, তিনি দেবকালীতে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মাস ছয়েক আগে, তিনি জয়পুরে কাজ করতে যান। সেখান থেকেই তিনি তাঁর স্ত্রীকে টাকা পাঠাতে থাকেন। আর সেই টাকা দিয়েই জুয়া খেলতেন রেণু।

Uttar Pradesh,Pratapgarh,Woman,Children,Husband,India,National,Social Media,Viral,Bet,Money,Landlord,police,Police Station

পাশাপাশি, রেণুর স্বামী আরও জানান, তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু, রেণু এখন বাড়িওয়ালার সঙ্গেই থাকতে শুরু করেছেন। এমতাবস্থায়, তাঁর স্বামী তাঁকে বাড়িওয়ালার কাছ থেকে চলে আসতে বললেও রেণু তাতে রাজি নন বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ জানিয়েছে, “আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা গেলেই আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর