তেজস ফাইটার জেট নিয়ে তুমুল আগ্রহ একাধিক দেশে! চাহিদা পূরণে জোরকদমে চলছে উৎপাদন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: যত দিন এগোচ্ছে ততই আন্তর্জাতিক মহলে তেজস লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্টকে (Tejas Light Combat Aircraft) ঘিরে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনিতেই, আমাদের দেশের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে এই যুদ্ধবিমান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি আরও একাধিক দেশ এই যুদ্ধবিমান কেনার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে যে, প্রতিরক্ষামূলক প্রয়োজনীয়তা এবং রপ্তানির জন্য চাহিদা মেটাতে LCA তেজসের উৎপাদন বাড়ানো হবে।

উল্লেখ্য যে, তেজস চিনের JF-17, কোরিয়ার FA-50, রাশিয়ার MiG-35 এবং Yak-13-এর সঙ্গে কড়া টক্কর দিচ্ছে। এদিকে, HAL (Hindustan Aeronautics Limited) সূত্রে জানা গিয়েছে যে, বর্তমানে বছরে মাত্র ৮ টি বিমান তৈরি হচ্ছে। যদিও, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ধীরগতির উৎপাদন এখন অতীতের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়া ১৮ টি বিমানের অর্ডার দিয়েছে। এছাড়া আর্জেন্টিনা, মিশর ও ফিলিপিন্সও তেজস যুদ্ধবিমান কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এদিকে, আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইংল্যান্ড, ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, ইতালি, রোমানিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ারও হালকা ফাইটার জেটের বহর রয়েছে। এমতাবস্থায়, তেজস হল ভারতীয় সেনাবাহিনীর সবচেয়ে অত্যাধুনিক হালকা যুদ্ধবিমান। আমেরিকাও এই বিমানের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাই, অনুমান করা হচ্ছে যে, এই বিমান ভবিষ্যতে দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি, অর্থনৈতিক সুবিধাও প্রদান করবে।

পাশাপাশি, প্রতি বছরে ১৬ টি বিমান তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে, বায়ুসেনারও প্রয়োজন মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান এবং ১০ টি প্রশিক্ষক বিমান। এমতাবস্থায়, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বায়ুসেনাকে ৭৩ টি বিমান সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই এই কাজের জন্য HAL-কে ৪৬,৮৯৮ কোটি টাকার চুক্তিও দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, যদি বিমানের জন্য আরও অর্ডার পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে উৎপাদন হার বাড়িয়ে বার্ষিক ২৪ টি বিমানে উন্নীত করার চেষ্টা করা হবে।

TEJAS

কেন LAC তেজসের চাহিদা বাড়ছে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, LAC তেজস যুদ্ধবিমানটি আকারে ছোট হওয়ার পাশাপাশি একটি অত্যন্ত সাশ্রয়ী ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট। এছাড়াও, ছোট হওয়ায় কারণে এই যুদ্ধবিমান শত্রুর রাডারেও সহজে ধরা পড়ে না। তার সাথে এটি দ্রুত শত্রুপক্ষের উদ্দেশ্যে আঘাত হানতে পারে। সর্বোপরি, এর ককপিটটির চারপাশে কাচ থাকায় তা চারপাশের দৃশ্যমানতাকেও বাড়িয়ে দেয়। এমতাবস্থায়, মিগ যুদ্ধবিমানগুলিকে তেজস দ্বারা প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর