৭০০০ কোটি টাকার ঋণে ডুবে ছিল মৃত স্বামীর কোম্পানি, একা হাতে দাঁড় করালেন বিধবা স্ত্রী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে ক্যাফে মানেই প্রথমেই যার কথা মাথায় আসে তা হল “Cafe Coffee Day”। শুধুমাত্র রাজ্যেই নয়, সমগ্র দেশজুড়েই ক্রমশ বাড়ছে এর জনপ্রিয়তা। কাজের ফাঁকে হোক বা ছুটির দিন, বন্ধুবান্ধব বা প্রিয়জনদের নিয়ে এখানেই ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটান অনেকেই!

তবে, বর্তমানে বিপুল জনপ্রিয়তার অধিকারী এই ক্যাফের পেছনে রয়েছেন একজন নারীর সক্রিয় ভূমিকা। এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব তা নিয়েই! ২০১৯ সালে এই ক্যাফের প্রতিষ্ঠাতা ভি জি সিদ্ধার্থ হঠাৎই আত্মহত্যা করেন। স্বাভাবিকভাবেই, ভারতের বৃহত্তম কফিশপ চেন মালিকের হঠাৎ মৃত্যুতে রীতিমতো চমকে যান সকলেই!

তবে, সিদ্ধার্থের মৃত্যু এখনও বিতর্কে থেকে গেছে। তাঁর শেষ চিঠিতে মনে করা হয়েছিল যে, তিনি ঋণ সংকট এবং ব্যবসায় ক্ষতির কারণে আত্মহত্যা করেছিলেন। তবে, পুলিশের অনুমান, তাঁর কাছে ঋণ পরিশোধের অনেক সুযোগ ছিল। পাশাপাশি, সিদ্ধার্থের সম্পত্তির মূল্য তাঁর ঋণের চেয়েও বহুগুণ বেশি থাকায় এই মৃত্যু এখনও থেকে গিয়েছে প্রশ্নের মধ্যেই।

এদিকে, তাঁর মৃত্যুর পর অনেকেই ভেবেছিলেন যে, “Cafe Coffee Day”-র যাত্রা হয়তো শেষ! কিন্ত, সকলের সেই ধারণাকে ভুল বলে প্রমাণিত করেন একজন! সিদ্ধার্থের স্ত্রী মালবিকা হেগডে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ক্যাফে কফি ডে এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের সিইও হিসাবে নিযুক্ত হন। তৎকালীন সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তির জেরে তিনি এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন এই ক্যাফেকে।

২০১৯ সালে, “Cafe Coffee Day”-তে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ ছিল। স্বাভাবিকভাবেই মালবিকার কাছে এটা ছিল একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। কিন্তু তিনি কখনও হাল ছেড়ে দেননি বরং এই ঋণ পরিশোধ করতে কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন।

malavika hegde who is also the director of coffee day has been appointed as ceo with effect from december 7 2020

তাঁর এই অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে, “Cafe Coffee Day”-র ঋণের বোঝা ২০২১ সালের মধ্যে কমে হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। স্পষ্টতই, এটি একটি দুর্দান্ত সাফল্য।

মালবিকার বর্তমান লক্ষ্য ঋণের বোঝা ছাড়াই “Cafe Coffee Day”-কে “মাল্টি বিলিয়ন ডলার” কোম্পানি হিসেবে গড়ে তোলা। পাশাপাশি, স্বামীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের প্রতিটি কোণায় তিনি ছড়িয়ে দিতে চান তাঁদের স্বপ্নের “Cafe Coffee Day”-কে। মালবিকার এই লড়াই এক উজ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে সবার কাছে!

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর