হায়দরাবাদে সিরিয়াল বিস্ফোরণ মামলার ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত সৈয়দ আবদুল করিমকে খালাস আদালতের

বাংলাহান্ট ডেস্ক ঃ হায়দরাবাদে সিরিয়াল বিস্ফোরণ মামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত সৈয়দ আবদুল করিম ওরফে টুন্ডাকে খালাস করা হয়েছে।আদালতে টুন্ডার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন যথেষ্ট প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিচারক টুন্ডাকে খালাস দিয়েছেন। ১৯৯৯ সালে হায়দরাবাদে সিরিয়াল বিস্ফোরণ মামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত সৈয়দ আবদুল করিম ওরফে টুন্ডা মঙ্গলবার আদালত থেকে ছাড় পান। মহানগর দায়রা আদালতের বিচারক এর আগে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিষয়টি মুলতবি রেখেছিলো। কিন্তু ছেড়ে দেওয়ার পরেও মুক্তি নেই, জানা গিয়েছে টুন্ডা লস্কর-ই-তৈয়বা সন্ত্রাসী সংস্থার সদস্য এবং বোমা তৈরিতে বিশেষজ্ঞ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

১৯৯৯ সালে হায়দরাবাদে গণেশ উত্সব চলাকালীন বিস্ফোরণটি চালানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগে টুন্ডা এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। হায়দরাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, টুন্ডা এই মামলায় সহ-ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন এবং বোমা তৈরিতে আরও কিছু আসামীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। টুন্ডা লস্কর-ই-তোয়বার একজন কট্টর সন্ত্রাসী হিসাবে বিবেচিত। আর এরপর থেকেই ফের নড়েচরে বসেছে প্রশাসন।ADSফৌজদারি ষড়যন্ত্র, অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক পদার্থ আইন, পাসপোর্ট আইন এবং বিদেশী আইন সহ আইপিসির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।পুলিশ ২৮ আসামির মধ্যে বলেছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল, অন্যরা পালিয়ে গেছে।

টুন্ডা দেশের ৪০ টিরও বেশি বোমা বিস্ফোরণের মূল পরিকল্পনাকারীভারতের অন্যতম বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদী । টুন্ডাকে ১লা আগস্ট ২০১৩ এ বনবাসার ইন্দো-নেপাল সীমান্ত থেকে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা সংস্থাগুলি গ্রেপ্তার করেছিল।পরে তাকে হায়দরাবাদ পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তিনি সারাদেশে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ মামলায় জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গাজিয়াবাদ কারাগারের ৭৭ বছর বয়সী টুন্ডা সেই ২০ সন্ত্রাসীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল। আবার যাদের ২৬/১১ -এর মুম্বাই সন্ত্রাস হামলার পরে ভারত পাকিস্তান সরকারকে হস্তান্তর করতে বলেছিল বলে জানা গিয়েছে।

সম্পর্কিত খবর