আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পেল, প্রতিক্রিয়া মৃত পশু চিকিত্সকের বাবা

বাংলা হান্ট ডেস্ক :শুক্রবার, কাকভোরে পুলিশের হাতে এনকাউন্টার হয়েছেন হায়দেরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে চার অভিযুক্ত। যেখানে তরুনী পশু চিকিত্সকের দেহ উদ্ধার হয়ে ঠিক তার অনতিদূরে ঘটনাটি ঘটে। শুক্রবার সকালে এই খবর চাউর হতে না হতেই দেশজুড়ে পুলিশকে শুভেচ্ছা বার্তা জানানো শুরু হয়েছে। টানা নদিন ধরে টানাপোড়েনের পর দশদিনের মাথাতেই অভিযুক্তদের এই ভাবে অভিযুক্তদের এই ভাবে শাস্তি দেওয়া নিয়ে খুশি দেশবাসী।

ফাঁসির থেকেও বড় শাস্তি দেওয়া নিয়ে একটু হলেও চমকে উঠেছেন সকলে। তবে পুলিশের এনকাউন্টারের পর প্রতিক্রিয়া দিলেন মৃত পশু চিকিত্কের বাবা। তাঁর মেয়ের আত্মা শাান্তি পেল বলে মন্তব্য করেন তিনি। উল্লেখ্য ২৮ ডিসেম্বর তারিখে রাতে হায়দেরাবাদের শাদেরনগরের একটি টোল প্লাজার কাছে হায়দেরাবাদের এক সরকারি পশু হাসপাতালের মহিলা চিকিত্সককে ধর্ষণ করে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

পর দিন সকালে তাঁর দগ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এপর দেশবাসী ওই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সবর হয়েছে। ইতিমধ্যেই শুক্রবার ভোর রাতে তদন্তের জন্য ঘটনার পুননির্মানের জন্য চার অভিযুক্ত- মহম্মদ আরিফ, নবীন, চিন্তাকুন্তা কেশাবুলু ও শিবাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়।

আর সেই সময়েই সেখান থেকে পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে এনকাউন্টার হতে হয় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার অভিযুক্তের। এরপরে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে তাঁদের ধরতে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে এনকাউন্টার করতে হয় তাঁদের। এরপরেই মৃত পশু চিকিত্সকের বাবা জানান, “আমি পুলিস এবং সরকারকে গোটা ঘটনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এবার হয়তো আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পেল। “

সম্পর্কিত খবর