“পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সচিন মাঠে থাকলে অত্যন্ত অস্বস্তি বোধ করতাম” স্বীকার করলেন মহম্মদ রিজওয়ান

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আজ এশিয়া কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তান। দুই দলই দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে ফাইনালে পৌঁছেছে। কিন্তু সম্মুখসমরে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে শ্রীলঙ্কার দাপট দেখিয়ে হারিয়েছিল পাকিস্তানকে। সুপার ফোরের সেই ম্যাচে রান তাড়া করে পাকিস্তানকে তিন ওভার বাকি থাকতেই হারিয়ে দিয়েছিলেন শানাকারা। তবে আজকের ম্যাচে সেই ফলের পুনরাবৃত্তি চাইবেন না পাক অধিনায়ক বাবর আজম।

আজকের ম্যাচে সেই ফলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্য বাবর আজমের সবচেয়ে বড় ভরসা হলো তার হাতে থাকা বোলাররা। নাসিম শাহ, মহম্মদ নওয়াজরা ধারাবাহিকতার সাথে ভালো বোলিং করে আসছেন টুর্ণামেন্টে। নওয়াজ আট উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। তার সামনে রয়েছেন শুধুমাত্র ভারতের ভুবনেশ্বর কুমার (১১)।

তুলনায় পাকিস্তানের ব্যাটিং টুর্ণামেন্টে ধারাবাহিকতা খুঁজে পায়নি। ফখর জমান, বাবর আজমরা চলতি টুর্ণামেন্টে যেন বেশ ফিকে ছিলেন। প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানকে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি ভরসা দিয়েছেন মহম্মদ রিজওয়ান। প্রায় প্রতিটা ম্যাচে তিনি পাকিস্তানকে ভালো শুরু করতে সাহায্য করছেন। কিন্তু তার সঙ্গী ওপেনার বাবর আজম ফর্মে না থাকায় তার চেষ্টা কিছুটা ব্যর্থ হচ্ছে।

চলতি টুর্ণামেন্টে তিনি ২২৬ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। তার সামনে রয়েছেন ভারতীয় তারকা এবং প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি (২৭৬)। আজ বিরাট কোহলি কে টপকে যেতে গেলে তাকে আরো ৫০ রান করতে হবে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বোলারদের বিরুদ্ধে বিরাট এবং তিনি কেউই ব‍্যাট হাতে সফল হতে পারেননি চলতি টুর্নামেন্টে। তাই বিরাটকে পেরিয়ে যেতে বেশ কিছুটা পরিশ্রম করতে হবে তাকে। সেই হাড্ডাহাড্ডি ফাইনালে নামার আগে কিংবদন্তি সচিন টেন্ডুলকারের স্তুতি শোনা গেল মহম্মদ রিজওয়ানের মুখে।

হাইভোল্টেজ ফাইনালে নামার আগে রিজওয়ান জানিয়ে দিলেন যে সচিন টেন্ডুলকার ছোটবেলার ছিলেন তার ক্রিকেট আইকন। তিনি এটাও জানিয়েছেন যে ছোটবেলায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থাকলে তিনি খুব অস্বস্তিতে থাকতেন। কারণ সচিনকে রান করতে দেখে উদযাপন করাটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যদি তার নিজের দেশের বিরুদ্ধে সচিন রান করেন তাহলে তিনি সেটা করতে পারতেন না। এখন দেখার সচিন শিষ্য ফাইনালে জ্বলে ওঠেন, নাকি রাজনৈতিক অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে জড়িয়ে থাকা একটি দেশের ক্রিকেটাররা দেশের মানুষকে নতুন দিশার সন্ধান দেন।

Avatar
Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর