শরীরে করোনা উপসর্গ না থাকলে তবেই পাবেন ট্রেন যাত্রার অনুমতি, জানুন বাকি সমস্ত নিয়ম

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশজুড়ে লকডাউন শেষ হচ্ছে ১৭ মে। যাত্রীদের কথা ভেবে তার আগেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। নয়াদিল্লি থেকে ডিব্রুগড়, আগরতলা, হাওড়া, পাটনা, বিলাসপুর, রাঁচি, ভুবনেশ্বর, সেকেন্দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, তিরুবনন্তপুরম, মদগাঁও, মুম্বই সেন্ট্রাল, আমদাবাদ এবং জম্মু তাওয়াই পর্যন্ত ট্রেন চালানো হবে শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও টাইম টেবিল ঘোষণা করা হয়নি। রেল ভবন সূত্রে বলা হচ্ছে, বিকেল ৪টেয় আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইটে লগ ইন করলেই টাইম টেবিল জানা যাবে।

lockdown 2222

১২ মে থেকে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলবে

রবিবার রাতে রেল মন্ত্রক জানিয়েছিল, মঙ্গলবার অর্থাৎ কাল ১২ মে থেকে নির্বাচিত কয়েকটি জোনে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলবে। শুরুতে ১৫ জোড়া ট্রেন চালানো হবে। অর্থাৎ রিটার্ন জার্নি নিয়ে মোট তিরিশটি ট্রেন চলবে। তারই বুক শুরু হতে চলেছে আজ সোমবার বিকেল চারটে থেকে।

তবে কেবলমাত্র আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইট থেকে এই টিকিট বুক করা যাবে। এই লিঙ্কে ক্লিক করে টিকিট বুক করা যাবে। রেলের কোনও টিকিট কাউন্টার কিন্তু খুলবে না। অর্থাৎ রেল স্টেশন সহ, দেশে বিভিন্ন যে টিকিট বুকিং কাউন্টার রয়েছে, সেগুলি বন্ধই থাকবে। কোনও স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম টিকিটও বিক্রি করা হবে না।

corona 2004110303 20200412014705

কনফার্ম টিকিট থাকলেই রেলে উঠতে পারবে

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যেসব যাত্রীদের কনফার্ম টিকিট থাকবে তারাই একমাত্র নয়াদিল্লি স্টেশনে ঢুকতে পারবেন। যাত্রীদের সবাইকে মাস্ক পরে আসতে হবে। স্টেশনে ঢোকার মুখে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হবে যাত্রীদের। যাদের করোনা উপসর্গ থাকবে তারা যেতে পারবেন না।

রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, যে সমস্ত যাত্রীর কাছে বৈধ টিকিট থাকবে, একমাত্র তাঁদেরই স্টেশন চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। এর অর্থ পরিষ্কার। পরিবারের কাউকে ট্রেনে তুলতে কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেবল বৈধ টিকিট সহ যাত্রীরাই প্রবেশের অনুমতি পাবেন। রেল জানিয়েছে, প্রবীণ নাগরিকদের ট্রেনে উঠতে সাহায্য করবেন রেল কর্মীরাই। রেলের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ভাবে মুখে মাস্ক পরতে হবে। সেই সঙ্গে ট্রেনে ওঠার আগে তাঁদের স্ক্রিনিং করা হবে। যাঁদের শরীরে কোনও উপসর্গ নেই, কেবল তাঁদেরই ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে।

64587 railway project pti

প্রথম ১৫ জোড়া, পড়ে স্পেশাল ট্রেন চলবে

প্রথমে ১৫ জোড়া ট্রেন চালানো হবে। তার পর ক্রমশ আরও স্পেশাল ট্রেন বিভিন্ন রুটে চালানো হবে। কারণ, বর্তমানে ২০ হাজার রেল কোচকে কোভিড-১৯ কেয়ার সেন্টার করে রাখা হয়েছে। তা ছাড়া ৩০০টি ট্রেনকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন হিসাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের তাঁদের নিজের রাজ্যে ফেরানোর জন্য চালাচ্ছে রেল মন্ত্রক। ফলে একটা বড় অংশের কোচ সেই পরিষেবার কারণে আটকে রয়েছে। তাই কত কোচ প্যাসেঞ্জার পরিষেবা চালানোর জন্য পাওয়া যাবে তা হিসাব করার পর সেই অনুযায়ী রুট ও স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়াবে রেল।

সম্পর্কিত খবর