‘করোনার সুপার স্প্রেডার খোদ নরেন্দ্র মোদীই’, দাবি IMA কর্তার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশজুড়ে মারণ ভাইরাস করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের ধাক্কায় লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি। দিনে দিনে রেকর্ড হারে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষজন। থেমে নেই মৃতের সংখ্যাও। চারিদিকে মৃত্যুর হাহাকার। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে স্বজন হারানোর কান্না। এমন সংকটজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। মিলছে না শয্যা, সঙ্গে অপর্যাপ্ত অক্সিজেন। তারই মধ্যে চলছে বাংলা সহ পাঁচ রাজ্যে ভোটগ্রহণ। এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সুনামির আকার নেওয়ার জন্য ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি দায়ী করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi)।

ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. নভজ্যোত দাহিয়া দাবি করলেন করোনার সুপার স্প্রেডার হলেন নরেন্দ্র মোদী নিজেই। তাঁর কথায়, করোনা সুনামি সামাল দিতে যখন নাজেহাল দেশের স্বাস্থ্যকর্মীরা, তখন একেরপর এক বড় বড় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। একুশে বাংলা সহ পাঁচ রাজ্যে যে বিধানসভা ভোট গ্রহণ চলছে, তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই সব রাজ্যে বড় বড় জমায়েত করে নির্বাচনী প্রচার সেরেছেন। সেখানেই ব্যাপক হারে মারণ ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছে বিরোধীরা।

An Images

এবার সেই একই সুর লক্ষ করা গেল IMA-র ভাইস প্রেসিডেন্টের (Navjot Dahiya) গলায়ও। জানিয়ে দি, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা (Corona) আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষ। তার আগে যখন ‘করোনা বিধি নিয়ে সাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির কাজে লেগে ছিল চিকিৎসকরা, তখন কোনও রকম কোভিড বিধি না মেনে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী’। এমনটাই অভিযোগ IMA ভাইস প্রেসিডেন্টের।

এমনকি তাঁর আরও অভিযোগ, দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরিতেও ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বললেন, গত বছর করোনার প্রথম হদিস মিলেছিল দেশে, তখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নতির জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি, দেশজুড়ে অক্সিজেনের আকাল (Oxygen Shortage)  নিয়েও মোদী সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, দেশে অক্সিজেন প্যান্ট তৈরির কাজও কেন্দ্রের অনুমতি না মেলায় আটকে আছে। উল্লেখ্য, দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল যখন সমালোচনায় ব্যস্ত, তখন IMA ভাইস প্রেসিডেন্টের এহেন অভিযোগ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই।

সম্পর্কিত খবর