হোলিতে জামাইকে গাধার পিঠে বসিয়ে ঘোরানো হয় ভারতের এই গ্রামে! কারণটা অবাক করার মতন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: হোলি হল এমন একটি উৎসব যা সমগ্র ভারত জুড়ে অত্যন্ত ধুমধামের সাথে উদযাপিত হয়। এটি রঙের উৎসবের পাশাপাশি বসন্ত উৎসব হিসেবেও সমধিক পরিচিত। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার চিরন্তন প্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা হিসেবে পালিত হয় এই দিন।

এছাড়াও, হোলি উৎসবের মধ্য দিয়েই বসন্তের পূর্ণ আগমনের পাশাপাশি দেশে শীতের সমাপ্তিও চিহ্নিত হয়। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ধুলান্দি বা রাঙ্গোয়ালি হোলি পালিত হয়। এই বছর আগামী ১৭ মার্চ হোলিকা দহন এবং ১৮ মার্চ ধুলান্দি উৎসব পালিত হবে।

এদিকে, এই উৎসব নিয়ে একাধিক প্রথা কিংবা রীতি প্রচলিত রয়েছে দেশজুড়ে। তবে, সেইসব প্রথার মধ্যে কিছু এমন প্রথাও রয়েছে যা শুনে রীতিমত অবাক হয়ে যান সকলে। বর্তমান প্রতিবেদনে ঠিক সেইরকমই এক নিয়মের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করা হল। মহারাষ্ট্রের একটি গ্রামে হোলি সংক্রান্ত এমন অদ্ভুত ঐতিহ্য প্রচলিত রয়েছে যা দীর্ঘ ৯০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে।

প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, মহারাষ্ট্রের বীড জেলার অন্তর্গত একটি গ্রামে নতুন জামাইকে গাধার পিঠে চড়ানো হয় এবং তারপরে তাঁর পছন্দের জামাকাপড়ও দেওয়া হয় তাঁকে। জেলার কেজ তহসিলের ভিদা গ্রামে এই রীতি পালন করা হয়। সাধারণত, এই নিয়মের জন্য গ্রামের নতুন জামাইকে শনাক্ত করতে তিন-চার দিন সময় লেগে যায়।

এদিকে, হোলির দিন ওই জামাই যাতে নিখোঁজ না হতে পারেন তার জন্য গ্রামবাসীরা তাঁর ওপর নজরও রাখেন। যেহেতু, ওই জামাই এই নিয়মের সাথে জড়িত তাই তাঁকে কোথাও যেতে দেওয়া হয়না। এই প্রথাটি শুরু করেছিলেন আনন্দরাও দেশমুখ নামে এক বাসিন্দা, যাঁকে গ্রামবাসীরা অত্যন্ত সম্মান করতেন।

Son In law,donkey,holi,Maharastra,Tradition,Unique Tradition,India,National,Village

তারপরে আনন্দরাওয়ের জামাইয়ের মাধ্যমে এই প্রথার রেশ চলে আসার পর তা এখনও অব্যাহত রয়েছে। গ্রামের কেন্দ্রস্থল থেকে নতুন জামাই চড়ে বসেন গাধার পিঠে এবং ১১ টার মধ্যে এই যাত্রা শেষ হয় হনুমান মন্দিরে। এরপরেই জামাইকে তাঁর পছন্দের পোশাক দেওয়া হয়। এদিকে, হোলির আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়ে যায় এই অদ্ভুত প্রথার একাধিক ভিডিও।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর