বাংলা হান্ট ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা মেতেছেএখন রানু মন্ডল আর লতা মঙ্গেসকার কে নিয়ে। দুদিন আগে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর মন্তব্য করেন “কাউকে নকল করে কখনও স্থায়ী হওয়া যায় না”। তাঁর এমন মন্তব্যের পর ‘বিনয়ী’ জবাব দিয়েছেন নতুন তারকা রানু মণ্ডল।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “লতাজির বয়সের অনুপাতে আমি অনেক ছোট। ভবিষ্যতেও ছোট থাকব। শৈশব থেকেই তার কণ্ঠ আমার খুব প্রিয়। কোনো অনুকরণ নয়, আমি তার থেকে অনুপ্রেরণা পাই”।
কিছুদিন আগে লতা বলেন, “যদি আমার নাম এবং কাজের সৌজন্যে কারও ভাল হয়, তবে আমি নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করব। কিন্তু, আমি মনে করি কাউকে নকল করা কখনও স্থায়ী এবং নির্ভরযোগ্য সমাধান হতে পারে না।আমার, কিশোরদার অথবা মুকেশ ভাইয়ের গান গেয়ে উঠতি গায়কেরা সাময়িক খ্যাতি পেতে পারে। কিন্তু তার স্থায়িত্ব বড় কম”।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিয়ালদহ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে নদীয়ার রানাঘাট স্টেশনে ভিক্ষা করতেন এই রানু মণ্ডল। ভিক্ষাবৃত্তিতে তার প্রধান হাতিয়ার ছিল গান। অতীন্দ্র চক্রবর্তী নামের এক যুবক তার গান শুনে কিছু একটা করার তাগিদ অনুভব করেন।
প্রথমে তিনি রানুর গান রেকর্ড করেন। নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বন্ধুদের সঙ্গে ভিডিওটি শেয়ার করেন অতীন্দ্র। একজন ভিক্ষুকের এমন সুরেলা কণ্ঠ সাড়া ফেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় গানটি। আর এই ভাইরাল গানেই রাতারাতি জীবন বদলে গেছে এবং তার মেয়ে কে ফিরে পেয়েছেন রানুর।