ভোট দিল না মুসলিম ভাইয়েরাও, ত্রিপুরায় মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাতেও ভরাডুবি তৃণমূলের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মাটি কামড়ে ত্রিপুরায় (tripura) পড়েছিলেন তৃণমূলের (tmc) শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বরা। ২৫ শে নভেম্বর নির্বাচনের পর আজ অর্থাৎ ২৮ শে নভেম্বর প্রকাশিত হয় ফলাফল। দেখা যায়, ত্রিপুরার মাটিতে গেরুয়া উড়ে যায় বামেরা। তবে ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও, ত্রিপুরার মাটিতে বেশকিছু ওয়ার্ডে বিরোধী দল হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল।

   

একটা সময় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর সংখ্যক মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন চলে আসতেন বাংলায়। আর সেই সময় একাধিকবার সংসদে এই নিয়ে সরবও হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই সময় এই সমস্ত ভোট থাকত বামেদের ঝুলিতে। আর পরবর্তীতে তা হয় তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক।

বিজেপি,বাংলা খবর,bangla news,bjp,ত্রিপুরা,tripura,তৃণমূল,tmc

বাংলার মত ত্রিপুরাতেও মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ককে টার্গেট করে এগোচ্ছিল তৃণমূল শিবির। কিন্তু দিল্লী জয়ের স্বপ্নে বিভোর হলেও, ত্রিপুরায় তৃণমূলের এই সমীকরণে কিছুটা গড়মিল দেখা গেল। সোনামুড়া পুরসভার ১৩ টি আসন, এমনকি মেলাঘরেও জিতেছে বিজেপির প্রার্থীরা। ত্রিপুরার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাতে দাঁতও বসাতে পারল না মমতা বাহিনী।

প্রসঙ্গত, আগরতলার নির্বাচনের দিনে শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটারদের মারধর এবং বিরোধী দলের উপর হামলার অজস্র অভিযোগ উঠেছিল। যদিও, বিজেপির তরফ থেকে সমস্ত অভিযোগই খারিজ করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, অশান্তির অভিযোগ থাকলেও ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছিল সেদিন।

ভোট শেষ হতেই আগরতলার পূর্ব ও পশ্চিম থানায় গিয়ে সিপিএম এবং তৃণমূল নেতৃত্ব ধরনায় বসেছিল। তাঁদের দাবি ছিল ভোট বাতিল করে পুনরায় ভোট করানো। এমনকি তৃণমূলের তরফ থেকে পুনরায় ভোটের জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।

করোনা বিধি মেনেই এদিন সকাল থেকে গণনা শুরু হয় আগরতলায়। মোট ৩৩৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি আগেই ১১২ টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর