অসম হোক বা কাশ্মীর, BSF এবং CRPF জওয়ানদের কাজ কাড়ছে সকলের মন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মারণরোগ করোনা ভাইরাস (COVID-19) চীন (Chaina) ছাড়িয়ে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ১৩০ কোটির দেশ ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দেশবাসীর সুরক্ষার জন্য সমগ্র ভারত জুড়ে লকডাউন অবস্থা জারি করেছে। শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের প্রয়োজন ছাড়া মানুষজনকে ঘর থেকে বেরোতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। স্তব্ধ রয়েছে যানচলাচল। এই পরিস্থিতিতে যাতে দরিদ্র গ্রামবাসীদের খাবারের সমস্যা না হয় তাঁর জন্য সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

   

কখনও সরকারী তরফে আবার কখনও এই সব দুঃস্থ মানুষদের পাশে নিজে থেকেই এসে দাঁড়াচ্ছে দেশের সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। দেশের সীমান্ত এলাকায় সুরক্ষায় পাশাপাশি এবার তারা দেশের দুঃস্থ নাগরিকদের খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের কাজে অংশ নিয়েছে। কাশ্মীর থেকে আসাম সর্বত্রই জওয়ানরা সাধারণ মানুষের খাবার সরবরাহ করে চলেছে। কোথাও BSF আবার কোথাও CRPF এর জওয়ানরা পৌঁছে যাচ্ছে সেই সব দুঃস্থ মানুষদের কাছে। খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে, যাতে করে দেশের কোন নাগরিক এই সংকটের সময় অভুক্ত না থাকে।

খাদ্যসামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি জওয়ানরা নাগরিকদের করোনা ভাইরাসের থেকে সুরক্ষা বিষয়েও সতর্কবার্তা দিচ্ছে। এই সময় এক CRPF জওয়ানকে দেশের উদ্যেশ্যে গান গাইতেও দেখা গেল। শুধুমাত্র আসাম নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দুঃস্থ মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দেশের জওয়ানরা। করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করতে খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে ওষুধ এবং স্যানেটাইজারও পাঠিয়ে দিচ্ছে তারা।

দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কাজের প্রয়োজনে কাশ্মীরে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকরা এখন লকডাউনের সময় অসুবিধায় পড়েছে। এই ৩০০ জন পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যায় তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে CFPR, খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়ে তাঁদের সাহায্য করছে। দেশের এই সংকটের সময়ে সেনাবাহিনী সহ দেশের আধা সেনারাও এগিয়ে এসেছে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর