ত্রিপুরায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে ইচ্ছুক বামেরা, খোদ মানিক সরকারের মন্তব্যে বাড়ল জল্পনা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ত্রিপুরায় নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মরিয়া তৃণমূল (tmc) শিবির। বিজেপিকে হারিয়ে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে, ২৪-র লক্ষ্যে পা বাড়িয়েছে মমতা বাহিনী। অন্যদিকে ত্রিপুরা tripura) থেকে গেরুয়া বাহিনীকে উচ্ছেদ করতেও বদ্ধ পরিকর সিপিএমরা (cpim)। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে পদ্ম শিবিরকে ধুমিস্মাৎ করতে কি একসঙ্গে জুটি বাঁধবে বাম- তৃণমূল?

বাংলায় ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে নতুন সূর্যদোয় করেছিল তৃণমূল বাহিনী। তারপর থেকে বিগত ১০ বছর ধরে বাংলার সিংহাসনের কাছেও ঘেঁষতে দেয়নি বামেদের। এমনকি চলতি বিধানসভাকে বাম শূণ্যও করে ছেড়েছে শাসকদল। কিন্তু এতকিছুর পরও বাংলার বামেদের একাংশ সেই তৃণমূলের সঙ্গেই জোট বাঁধতে আগ্রহী। বিজেমূল তকমা দিলেও, তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে, বিজেপিকে বাংলা ছাড়া করার প্রচেষ্টা চালাতে চায় তাঁরা।

এপ্রসঙ্গে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে, যে কোন দলের সঙ্গেই জোট বাঁধতে প্রস্তুত’। বর্ষীয়ান এই নেতার এমন মন্তব্যের জেরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। এবার খানিকটা এমনই সুর শোনা গেল ত্রিপুরার বামেদের গলাতেও।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের কথায়, ‘আন্দোলন, সংগ্রাম ও সংগঠন করে তৃণমূল। তাঁদের এই কাজে আমরা আগে কখনও বাঁধা দিইনি। তাঁরা তাঁদের মত কাজ করেছে, নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তবে জয় পরাজয়ের বিষয়টা অন্য। ত্রিপুরায় তৃণমূল নতুন নয়। অনেকদিন থেকেই রয়েছে। বাংলায় নিজেদের ক্ষমতা থাকলেও, এবার অন্যান্য জায়গাতেও নিজেদের শক্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে সবুজ শিবির’।

বাংলায় এবং ত্রিপুরায় বামেদের একাংশের গলাতে তৃণমূল ঘেঁষা সুর শোনা গেলেও, সুজন চক্রবর্তী সর্বদাই তৃণমূলের বিরোধিতা করে এসেছে। তাঁর কথায়, ‘ত্রিপুরার এখন যা পরিস্থিতি তাতে করে বোঝা যাচ্ছে বিজেপিকে হারিয়ে বামেরা ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে। আর এই পরিস্থিতিতে বামেদের দুর্বল করতে, সেখানে উপস্থিত হয়েছে তৃণমূল বাহিনী’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর