বাংলাদেশকে নিজের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টায় চীন, বেশ কিছু বানিজ্যিক সুবিধা পেল শেখ হাসিনার দেশ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারত-চীন সীমান্তে লড়াই নিয়ে ভারতে (india) চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হচ্ছে। এলডিসি কান্ট্রি হিসাবে বাণিজ্যের ওই প্রাধিকারটি পেতে দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকা-বেইজিং আলোচনা চলছিল। ১৬ জুন সুবিধাটি দিতে সম্মত হয় শি জিন পিংয়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। যদিও বাংলাদেশ এখন মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লিফট বা সিঁড়িতে রয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে বেইজিং প্রদত্ত সুবিধার ওই ঘোষণা কার্যকর হতে যাচ্ছে।

সেখানেই আবার চিনের বাজার আরও বড় করে খুলে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। এবার চিনের বাজারে নতুন আরও ৫ ,১৬১টি পণ্যের শুল্কমুক্ত দ্বিপক্ষীয় রপ্তানি সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে চিনের বাজারে বাংলাদেশের জন্য মোট শুল্কমুক্ত পণ্যের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৮২৫৬টি।

বাংলাদেশ এখন মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার সিঁড়িতেই রয়েছে। ১ জুলাই থেকে বেইজিং এর দেওয়া এই সুবিধা কার্যকর হতে যাচ্ছে। বিদেশ মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ বিষয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক কূটনীতি চালু করেছে, এটা সেদিক থেকে খুব বড় একটা পদক্ষেপ। চিন সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে ওদেশের বাজারে বাংলাদেশ যত পণ্য পাঠাবে তার ৯৭ শতাংশই শুল্ক মুক্তের সুবিধা পাবে।

এটাকে এক অর্থে শত ভাগ শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধাও বলা হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশ থেকে যত ধরনের পণ্য চিনে রপ্তানি হয় তার মধ্যে মাত্র শতকরা ৩টি বাদে সবই বিনা শুল্কে দেশটির বাজারে ঢুকতে পারবে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক কূটনীতির অংশ হিসাবে এমন সুবিধার অনুরোধ জানিয়ে চিন সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এই অনুরোধের প্রেক্ষিতে চিনের স্টেট কাউন্সিলের ট্যারিফ কমিশন সম্প্রতি এ সুবিধা প্রদান করে নোটিশ জারি করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ আগে থেকে চিনে এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের আওতায় ৩০৯৫ পণ্যের শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পেয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সরকার তথা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক কূটনীতির অংশ হিসাবে এমন সুবিধার অনুরোধ করে চীন সরকারকে চিঠি দেয়া হয়। এ অনুরোধের প্রেক্ষিতে চীনের স্টেটকাউন্সিলের ট্যারিফ কমিশন সম্প্রতি এ সুবিধা প্রদান করে নোটিশ জারি করে। বাংলাদেশ আগে থেকে চীনে ‍Asia Pacific Trade Agreement (APTA) এর আওতায় ৩০৯৫ পণ্যের শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা ভোগ করে আসছে

সম্পর্কিত খবর