মোদির মাস্টারস্ট্রোক! চিনকে “শায়েস্তা” করতে এবার নয়া ফন্দি আঁটল ভারত! জানেন কী?

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসার পরই ভারতসহ একাধিক দেশের উপর পাল্টা সমশুল্ক নীতি জারির ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার পরই আমেরিকার সাথে রীতিমতো ‘শুল্কযুদ্ধ’ শুরু হয়ে যায় বিশ্বের একাধিক দেশের। এবার খানিকটা সেই পথেই হেঁটে চিন থেকে আমদানি করা চারটি পণ্যের উপর কর চাপানোর ঘোষণা করল ভারত (India-China)।

চিনকে বাগে আনতে উদ্যোগী ভারত (India-China)

ভারত সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবার থেকে চিন (China) থেকে আমদানি করা সস্তা চারটি পণ্যের উপর আরোপ করা হবে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক। বর্তমানে এই পণ্যগুলি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কম দামে আমদানি করা হয়ে থাকে ভারতে (ndia)। নয়া অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক চাপানোর ফলে দেশের বাজারে দাম বাড়বে এই চিনা পণ্যগুলির।

আরও পড়ুন : হু হু করে এগোচ্ছে ভারত! এবার আমেরিকা-চিনকেও দিচ্ছে টক্কর, সামনে এল বিরাট পরিসংখ্যান

বাণিজ্য মন্ত্রকের তদন্ত ইউনিট ডিজিটিআরের সুপারিশের জেরেই কেন্দ্রীয় সরকার অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক লাগু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস এবং রেভিনিউ বিভাগ পৃথক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ভারত সরকার অ্যান্টি ডাম্পিং কর আরোপ করেছে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, ভ্যাকুয়াম ফ্লাস্ক, নরম ফেরাইট কোর্স এবং ট্রাইক্লোরো আইসোসিনোরিক অ্যাসিডের উপর।

আরও পড়ুন : পাত্তা পেলনা আমেরিকার হুমকি! রাশিয়ার হাত ধরে এবার ভারত যা করল…..জানলে হবেন “থ”

মূলত ৬ মাসের জন্য চিনা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের উপর কর লাগু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। জানা যাচ্ছে, এক টন অ্যালুমিয়াম ফয়েলের উপর আরোপ করা হয়েছে ৮৭৩ ডলার পর্যন্ত অ্যান্টি ডাম্পিং কর। পাশাপাশি, চিন ও জাপান থেকে আমদানি করা অ্যাসিডের উপর টন পিছু ২৭৬ থেকে ৯৮৬ ডলার পর্যন্ত কর লাগু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার (Government of India)।

India-China present condition and action.

অ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটি ঠিক কী?

একটি দেশ কোনও পণ্য স্বাভাবিকের তুলনায় কম দামে রফতানি করলে তাকে ডাম্পিং বলা হয়ে থাকে। এর ফলে অনেক সময় প্রভাবিত হয় দেশে উৎপাদিত পণ্য। সেই কারণে দেশের বাজারে রফতানি পণ্যের দাম কমে গেলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে দেশীয় সংস্থাগুলির উপর। কম দামে বিদেশি পণ্য দেশের বাজারে বিক্রি হতে শুরু করলে, তার সাথে প্রতিযোগিতায় অনেকটাই পিছিয়ে যায় দেশীয় সংস্থা। দেশীয় পণ্যের চাহিদা হ্রাস পেলে ক্ষতি হয় ব্যবসার। আগেও এই ধরনের ডাম্পিং পণ্য বেশ প্রভাব ফেলেছিল ভারতের বাজারে।

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

X