মেক ইন ইন্ডিয়ার শক্তি দেখাচ্ছে ভারত, ভেন্টিলেটর থেকে মাস্ক দেশে হচ্ছে প্রস্তুত

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতে (India) করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধির মধ্যেই, ব্যাপকহারে তৈরি করা হচ্ছে চিকিৎসা দ্রব্য। চিকিৎসকদের যাতে কোন সমস্যা না হয়, সেই কারণে তাঁদের সুরক্ষার ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। যুদ্ধস্তরে কাজ করেছে চলেছে ভারত। মাস্ক, পিপিই কিট, ভেন্টিলেটর ছাড়াও আরও অনেক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দ্রব্য প্রস্তুত করছে দেশ মধ্যস্ত বিভিন্ন কোম্পানিরাই।


পিপিই, মাস্ক, ভেন্টিলেটর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দ্রব্য প্রস্তুতকারক কারখানাগুলো ২৪ ঘণ্টা কাজ করেই চলেছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা প্রদান করতে এবার ভারত ইলেক্ট্রনিক্সও ভেন্টিলেটর প্রস্তুতিতে অংশ নিচ্ছে। এছাড়াও, সমস্ত ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাও সরকারকে আশ্বস্ত করেছে যে, এই সংকটের সময়ে ওষুধের কোন কমতি হবে না। এর পাশাপাশি অটো নির্মাতারাও ভেন্টিলেটর প্রস্তুত করতে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি চিকিৎসা কর্মীদেরকেও সবরকম পরিস্থিতিতে তৈরি থাকার প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে।

পিপিই কিটের নির্মানের উপর সরকার বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে। চিকিৎসা কর্মীদের সুরক্ষা প্রদানকারী এই পোশাক প্রথমে ভারতে উৎপাদন হত না । কিন্তু ৩০ শে মার্চের আগে বছরে ৮৫ হাজার পিপিই বিদেশ থেকে আমদানি করা হত। কিন্তু বর্তমানে করোনা সংক্রমণের কারণে দেশে পিপিই-র চাহিদা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায়, ভারত সরকার দেশেই এই চিকিৎসা দ্রব্য প্রস্তুতের বিষয়ে নজর দেয়।

কেন্দ্র সরকারের হিসাবন অনুযায়ী, পিপিই-র চাদিহা পূরণ করার জন্য ২ কোটি ২২ লক্ষ পিপিই অর্ডার দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১ কোটি ৪২ লক্ষ পিপিই-র অর্ডার দেওয়া হয়েছে দেশ মধ্যস্ত কোম্পানিগুলোকে। এখনও অবধি ১৭ লক্ষ ৩৭ হাজার পিপিই ইতিমধ্যেই এই দেশীয় কোম্পানিগুলো ডেলিভারি দিয়ে দিয়েছে। এবং আগামী ২ মাসের মধ্যে ১ কোটি ১৫ লক্ষ পিপিই আমদানি করা হবে। ৮০ লক্ষ পিপিই বাইরে থেকে আমদানি করা হবে।

 

এছাড়াও দুই গৃহ কোম্পানিকে N95 মাস্ক উৎপাদন করছে। বর্তমানে তারা প্রতিদিন ৫০ হাজার করে মাস্ক তৈরি করছে। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিদিন ১ লক্ষ মাস্ক উৎপাদন করতে পারবে। অপরদিকে DRDO স্থানীয় নির্মাতাদের সাথে মিলিতভাবে প্রতিদিন ২০ হাজার করে মাস্ক উৎপাদন করছে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর