ভারতীয় নার্সের মৃত্যুদণ্ডে সম্মতি এই দেশের! নিমিশাকে বাঁচাতে এবার বড় ঘোষণা দিল্লির

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় (India) নার্স নিমিশা প্রিয়ার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। ভারত সরকারের তরফে নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড রদ করার জন্য সর্বতোভাবে সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এমনটাই জানিয়েছেন নিমিশা প্রিয়ার ব্যাপারে।

ইয়েমেনের ভারতীয় (India) নার্সকে সাহায্যের আশ্বাস বিদেশ মন্ত্রকের

২০১৭ সাল থেকে ইয়েমেনের জেলে বন্দি রয়েছেন ভারতীয় (India) নার্স নিমিশা প্রিয়া। ইয়েমেনের এক নাগরিককে হত্যার অপরাধে ২০১৮ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে সে দেশের আদালত। এত বছর ধরে নিমিশার মৃত্যুদণ্ড রদ করার জন্য নানান রকম ভাবে চেষ্টা করে এসেছে তাঁর পরিবার। সাজার বিরুদ্ধে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠনও পাশে দাঁড়িয়েছে নিমিশার। কিন্তু গত সোমবার রাষ্ট্রপতির নির্দেশে এত বছরের আইনি লড়াই কার্যত ব্যর্থ হতে বসেছে।

India Ministry of external affairs will help nurse in Yemen

কী বললেন মুখপাত্র: সোমবার নিমিশার প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশই বহাল রাখেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রশিদ মহম্মদ আল আলিমি। আগামী এক মাসের মধ্যে প্রবাসী ভারতীয় (India) নার্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এমতাবস্থায় নিমিশার পরিবারের পাশে দাঁড়াল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।

আরো পড়ুন : বাবা হচ্ছেন ‘ফুলকি’র খলনায়ক, বছরের প্রথম দিনেই বিরাট সুখবর সুদীপ-অনিন্দিতার, কবে আসছে সন্তান?

পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার: মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ইয়েমেনে ভারতীয় (India) নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড সম্পর্কে আমরা অবগত। প্রিয়ার পরিবার তাঁর প্রাণ বাঁচাতে সব রকম চেষ্টা করছে। সরকারের তরফেও এ বিষয়ে সব রকম সাহায্য করা হবে”। নিমিশা প্রিয়ার প্রাণভিক্ষার ব্যাপারে ইয়েমেন প্রেসিডেন্টের কাছে ভারত সরকার আবেদন জানাবে বলেও জানানো হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।

আরো পড়ুন : ভারতের ওপরেই নির্ভরশীল! অবশেষে সুর নরম করে দিল্লির সাথে সুসম্পর্ক চাইছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান

ইয়েমেনে কীসের সাজা ভোগ করছেন ভারতীয় (India) নার্স নিমিশা প্রিয়া? কেরলের পালাক্কড় জেলার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। তবে ২০০৮ সালে তিনি ইয়েমেনে চলে যান। সেখানে নার্সের কাজ শুরু করেন নিমিশা। ২০১১ সালে কেরলে টমি থমাসের সঙ্গে বিয়ে করেন তিনি। তাঁদের ইচ্ছা ছিল ইয়েমেনে একটি ক্লিনিক খোলার। কিন্তু স্থানীয় পার্টনার ছাড়া ক্লিনিক খোলা ইয়েমেনের আইন বিরুদ্ধ। এমতাবস্থায় তালাল আবদো মাহদি নামে এক ইয়েমেনি ব্যক্তির সঙ্গে মিলে ক্লিনিক খোলেন নিমিশা। সে সময়ে তাঁর স্বামী, সন্তান ছিলেন কেরলে। এদিকে নিমিশাকে ক্লিনিকের আয়ের অংশ দিতে অস্বীকার করার পাশাপাশি তাঁকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অত্যাচারের অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর পাসপোর্টও কেড়ে নেন। এরপর ২০১৭ সালে পাসপোর্ট উদ্ধার করতে ওই ব্যক্তিকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেন নিমিশা। কিন্তু ওভারডোজে ব্যক্তির মৃত্যু হলে একজনের সাহায্যে মাহদির দেহ টুকরো টুকরো করে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেন তিনি। কিন্তু ইয়েমেন থেকে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে যান নিমিশা প্রিয়া।

Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর