সমুদ্রের তলেই নিকেশ হবে শত্রুপক্ষের জাহাজ-সাবমেরিন! DRDO-র নতুন হাতিয়ার ঘুম ওড়াবে শত্রুদের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যত দিন এগোচ্ছে ততই দেশের (India) সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। সেই বেশ বজায় রেখেই এবার একটি বড়সড় তথ্য সামনে এল। জানা গিয়েছে, দেশে অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে এবার দুর্দান্ত সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

মূলত, এবার DRDO (Defence Research and Development Organisation) দ্বারা তৈরি টর্পেডোর সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ওই হেভিওয়েট টর্পেডো জলের নিচে থাকা তার লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত করেছে বলেও জানা গিয়েছে।

ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনী একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে যে, “এটি ভারতীয় নৌবাহিনী এবং DRDO-র জন্য একটি বড় অর্জন। টর্পেডোটি নিখুঁতভাবে জলের নিচে থাকা তার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছিল।” পাশাপাশি, এটি আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যকেও ত্বরান্বিত করেছে। কারণ, এই টর্পেডোটি সম্পূর্ণভাবে ভারতেই তৈরি হয়েছে।

গত সপ্তাহে আইএনএস বিক্রান্তে হেলিকপ্টার অবতরণ করে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গত সপ্তাহেই আরও একটি সাফল্য অর্জন করে ভারত। মূলত, MH60 রোমিও হেলিকপ্টার সফলভাবে দেশীয়ভাবে তৈরি এয়ারক্রাফট কেরিয়ার আইএনএস বিক্রান্তে অবতরণ করে। নৌবাহিনী জানিয়েছে যে, নাভাল ওয়ারশিপের সাথে হেলিকপ্টারের ইন্টিগ্রেশন অ্যান্টি সাবমেরিন যুদ্ধ এবং ফ্লিটের সমর্থনের প্রতি একটি বড় পদক্ষেপ। এর ফলে জলে ভারতের যুদ্ধের ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সামুদ্রিক কর্মকাণ্ডও পর্যবেক্ষণ করা যাবে।

পাশাপাশি, ভবিষ্যতে যুদ্ধে নৌবাহিনীর শক্তি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হবে। সেক্ষেত্রে সাবমেরিনের ভূমিকাও বাড়বে। এদিকে টর্পেডোও অত্যন্ত গুরুত্ব পাবে। এহেন অস্ত্রের জলের নিচে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শত্রুর সাবমেরিনকে “লক্ষ্যবস্তু” করার ক্ষমতা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের তৈরি টর্পেডোর সফল পরীক্ষা দেশের যুদ্ধ প্রস্তুতির দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর