বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াল ভারত, দিচ্ছে হাইড্রোক্সিল ক্লোরোকুইন ওষুধ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের (corona virus) মৃত্যুমিছিল রুখতে এবার বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াল ‘বন্ধু’ ভারত। দুনিয়া কাঁপানো মহামারির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার ঢাকাকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (Hydroxychloroquine) দেবে নয়াদিল্লি (New Delhi)।

coronavirus test tube reuters 1583766881

জানা গিয়েছে, বিপর্যয়ের সময় দায়বদ্ধতা দেখিয়ে বাংলাদেশ-সহ একাধিক পড়শি দেশগুলিতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। পরিস্থিতির দ্রুত মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই রপ্তানি শুরু করে দিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারত সরকার জানিয়েছে, ১০ টন ওষুধ নিয়ে মঙ্গলবার এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান শ্রীলঙ্কা পৌঁছায়। বাংলাদেশ, ভুটান,  আফগানিস্তান, নেপাল, মায়ানমার, সেশেলস, মরিশাস এবং কিছু আফ্রিকার দেশ ভারতে তৈরি এই ওষুধ পাবে। এ ছাড়া প্যারাসিটামল ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে ভারতীয় ফার্মাসিউক্যালস কোম্পানিগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কোভিড-১৯ এর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, স্পেন, ব্রাজিল, বাহরাইন ও জার্মানির কাছে এ ওষুধ রপ্তানিতে ভারত (india)সরকার সবুজ সংকেত দিয়েছে।
medicine
এর আগে ভারত সরকার নিজেদের অভ্যন্তরীণ চাহিদার কথা মাথায় রেখে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও প্যারাসিটামল ট্যাবলেট রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে খাপ্পা হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের সমালোচনা করেন। পরে ট্রাম্পের অনুরোধের মুখেই ভারত ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সরবরাহ করতে রাজি হয়। বলা হচ্ছে, ভারত সবচেয়ে বেশি হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ তৈরি করে থাকে।ট্রাম্পের হুমকির পরেই গত মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, ভারত সব সময়েই আন্তর্জাতিক সংহতি ও সহযোগিতার কথা বলে এসেছে। তাই বিশ্বজুড়ে বহল সংকটের কথা মাথায় রেখে যথাসাধ্য ওষুধ সরবরাহ করবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মদতে এগিয়ে এসেছে চিনও। করোনা রুখতে ১৫ জন চিকিৎসকের একটি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজিং। এছাড়াও, বাংলাদেশকে করোনা টেস্ট কিট, ফেসমাস্ক, পিপিই ও থার্মোমিটার দিয়েছে চিন।

সম্পর্কিত খবর