চিনের রক্তচাপ বাড়াতে এবার ব্রহ্মপুত্রের উপর দীর্ঘতম ব্রিজ বানাবে মোদী সরকার

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সীমান্ত সুরক্ষায় অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী [Narendra Modi]। সীমান্তে যেকোনও সমস্যায় সেনাবাহিনী যাতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দ্রুত পৌঁছতে পারে, সেই জন্য সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। আর একই কারণে এবার ব্রহ্মপুত্র [Bramhaputra River] নদের ওপর দেশের দীর্ঘতম ব্রিজ বানাতে চলেছে কেন্দ্র। অসম-মেঘালয় সীমান্তে এই ব্রিজের দীর্ঘ হবে ১৮ কিলোমিটার। ফলে চিন ও বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছনো অনেক বেশি সহজ হয়ে উঠবে। একই সঙ্গে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যেই সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়ে উঠবে।

সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে জানান, ইতিমধ্যেই অসমের ধুবরি থেকে মেঘালয়ের ফুলবাড়ি পর্যন্ত এই ব্রিজের প্রাথমিক নির্মাণ কাজের দায়িত্ব এক সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। নতুন বছরের শুরু থেকেই ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যাবে এবং ২০২৬-২৭ সালের মধ্যেই এই ব্রিজ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ১৮ কিমি লম্বা এই ব্রিজ [১২.৬২ কিমি মূল ব্রিজ, অ্যাপ্রোচ রোড মোট ৫.৩৮ কিমি] তৈরির জন্য মোট ৫০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

এই ব্রিজ তৈরি হয়ে গেলে অসম-মেঘালয় সীমান্তে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক সুগম হয়ে যাবে। এখনও নৌকায় এই নদ পারাপার করতে ২.৫ ঘণ্টা সময় লাগে। বর্ষাকালে তো এই ফেরি পরিষেবা বন্ধই করে দেওয়া হয়। ফলে সেই সময় আরও অসুবিধায় পরেন সাধারন মানুষ। এই ব্রিজ তৈরি হয়ে গেলে সাধারন মানুষ তো উপকৃত হবেনই, সেই সঙ্গে সেনা বাহিনীও সীমান্ত এলাকায় আরও দ্রুত পৌঁছতে পারবে। সূত্রের খবর, এই ব্রিজে ১০০ কিমি/ঘণ্টা বেগে যানবাহন যাতায়াত করতে পারবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি জানা গিয়েছে এই ব্রহ্মপুত্র নদের উপরই তিব্বতে একটি বৃহৎ বাঁধের নির্মাণ করছে চিন। এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। কারণ, এই বাঁধ তৈরি হলে ব্রহ্মপুত্রের অনেক পরিমাণ জল নিয়ন্ত্রক করবে চিন। সেক্ষেত্রে জলসমস্যায় পড়বে ভারত ও বাংলাদেশ।

সম্পর্কিত খবর