মাত্র ২০ দিনের মধ্যেই ভারত জব্দ করে দিলো মালেশিয়া ও তুর্কিকে

ভারত (India) তার কূটনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন সাধন করেছে। মালয়েশিয়া ও তুরস্কের বিষয়ে ভারতের কঠোর অবস্থান থেকে এই পরিবর্তন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। এই উভয় দেশই কেবল ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তথা কাশ্মীর ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছিল। ভারত সরকার তুরস্ক ও মালয়েশিয়া উভয়কেই নিজস্বভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে কূটনৈতিক পর্যায়ে কোনও দেশকে ছাড় দেওয়া হবে না। ভারত এখন মালয়েশিয়া থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছে। সূত্র বলছে যে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল আমদানিসহ বেশ কয়েকটি পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বিবেচনা করছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তা কয়েক দিনের মধ্যেই তার আনুষ্ঠানিক সম্মতি দেবে।

images 2019 10 13T182343.706 1

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাম তেল ভারতে ভোজ্যতেলের মোট তেলের ব্যবহারের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। ভারত প্রতি বছর নয় মিলিয়ন টন পাম তেল আমদানি করে। মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলি য থেকে ভারত আমদানি করে। মালেশিয়াকে বাদ দিয়ে ভারত সরকার এখন ইন্দোনেশিয়া থেকে এই পাম তেল আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করছে। উল্লেখ্য, গত মাসে ভারত মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করা পাম অয়েলে আমদানি শুল্ক শতাংশ বাড়িয়েছে।ইউএন জেনারেল অ্যাসেমব্লিতে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রপতি মাহাথির মুহাম্মদের দেওয়া বিতর্কিত বক্তব্যের পর ভারত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইউএন জেনারেল অ্যাসেমব্লিতে মাহাথির মুহাম্মদ বলেছিলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাব সত্ত্বেও ভারত কাশ্মীর ইস্যুতে একতরফা পদক্ষেপ নিয়েছে, এমন করার কারণ থাকতে পারে, তবে তা ভুল।” “তিনি আরও বলেছিলেন যে” ভারতের উচিত পাকিস্তানের সাথে একত্রে কাজ করা এবং এই সমস্যার সমাধান করা উচিত “। তাই ভারত সরকার মালেশিয়াকে ঝটকা দিয়ে মালেশিয়ায় থেকে আমদানি পণ্যের উপর বিবেচনা করছে। এটা মালেশিয়ার জন্য একটা বড়ো ঝটকা প্রমাণিত হবে।

তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রেসেপ তাইয়ব এরদোগানও কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে সমর্থন করার জন্য ভারতীয় কূটনীতির এক নতুন সরূপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তুরস্কও কাশ্মির ইস্যুতে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছিল যে এই সমস্যাটি সংঘাতের মাধ্যমে নয়, ন্যায়বিচার ও সাম্যের ভিত্তিতে সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। এখন তুর্কী এটা করে নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মেরেছে বলে মনে করা হয়েছে। কারণ ভারত সরকার তুর্কীর সাথে ২.৩ মিলিয়ন ডলারের এক চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে। আগামী সময়ে আরো এমন চুক্তি বাতিল হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একইসাথে তুর্কী থেকে যে আতঙ্কবাদের উৎপত্তি হচ্ছে তার উপরেও ভারত বিশ্বকে এক হওয়ার ডাক দেবে। এরফলে তুর্কিকে একঘরে করে দেয়ার প্রয়াস করা হবে যার প্রভাব সরাসরি তুর্কীর আর্থিকক্ষেত্রে পড়বে।

সম্পর্কিত খবর