২০২৬ সালে ভারতই হবে বিশ্ব অর্থনীতির চতুর্থ ক্ষমতাশালী দেশ, বলছে সমীক্ষা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বর্তমানে দেশের আর্থিক অবস্থা একেবারেই খারাপ। চলতি আর্থিক বর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার যেহারে নেমেছে তাতে তো গত ছয় বছরের রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে। তাই দেশের আর্থিক বেহাল দশা নিয়ে একেবারে জেরবার অবস্থা কেন্দ্রের। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা থেকে বার বার বলা হয়েছে জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু কতটা নিয়ন্ত্রণে আছে তা নিয়েও তো যথেষ্ট প্রমান পাওয়া গেছে।

তবে বিশ্বের আর্থনীতিবিদরাও এর আগে চলতি বছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির আর সম্ভাবনা নেই বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। সেই আশঙ্কাই কার্যত সত্যি হয়েছে। অথচ দেশের প্রধানমন্ত্রী কিন্তু পাঁচ বছরের মধ্যে পাঁচ ট্রিলিয়নে নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। যদিও মোদীর এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে কম কিছু হয়নি। কিন্তু এরই মধ্যে এবার আশার বানী শোনাল ব্রিটেনের সেন্টার ফর ইকনমিক রিস্টার্চ অ্যান্ড বিসনেস রিসার্চ। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে না হলেও সাত বছরের মধ্যে দেশের আর্থিক অবস্থা ফিরবে, এমনটাই বলছে ওই সংস্থা।

সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করে সেই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে ব্রিটেনের ওই সংস্থা। আর সেই তথ্য বলছে কয়েক বছরের মধ্যে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার এতটাই দ্রুত গতিতে ত্বরান্বিত হবে যে ২০৬ সাল নাগাদ ভারত বিশ্বের চতুর্থ অর্থিক ক্ষমতাশালী দেশের তকমা পাবে। একইসঙ্গে ওই সংস্থার সমীক্ষা আরও জানিয়েছে, তা হল জার্মানিকেও ছাপিয়ে যাবে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি।

এরপর আরও সাত বছর পর অর্থাত্ ২০৩৪ সাল নাগাদ জাপানকে ছাপিয়ে তৃতীয় নম্বর আর্থিক ক্ষমতাশালী দেশের তকমা পাবে দেশ। তাহলে মোদী সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আরও দুবছর বেশি সময় লাগলেও পরিমান যে অনেকটাই বেশি হবে তা বলাই যায়। যদিও এবছরে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার কম, কিন্তু তাতেও এখনও অবধি অর্থনীতির দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত।

অন্যদিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে আন্তর্জাতিক বাজারে বেহাল দশার কারণে ভারতের রফতানির ওপর প্রভাব পড়বে তাই আগামী দিনে কেনাকাটা ও লগ্নিকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারের বিষয়টিতেও সতর্ক থাকতে হবে। অন্য দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি সমীক্ষা করেছে সেখান থেকে জানা গিয়েছে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এক ধাক্কায় ব্যাঙ্কগুলির অনাদায়ী ঋণ 9.9 শতাংশ ছুঁতে পারে যা চলতি বছরে 9.3 শতাংশে সীমাবদ্ধ ছিল।

 

সম্পর্কিত খবর