অসাধারন ! গুয়াহাটিতে প্লাস্টিকের আবর্জনা দিয়েই রাস্তা বানিয়ে ফেললো ভারতীয় সেনা

প্লাস্টিকের রাস্তা ভাবতে অবাক লাগছে তাই তো! কিন্তু হ্যা এটাই সত্যি। একেবারে নতুন চমক দিলো গুয়াহাটি। ভারতীয় সেনাদের অধীনে কর্ম রত ইঞ্জিনিয়াররা নারাঙ্গি মিলিটারি স্টেশন এর কাছে নতুন রাস্তা বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে। রাস্তা বানানোর যে মেটেরিয়াল তা বানানো হয়েছে প্লাস্টিকের আবরজ্না দিয়ে। কারণ বলতে গেলে আমাদের পৃথিবীর এখন একটা ভয়ানক সমস্যা।

প্লাস্টিকের ছড়াছড়ি সব জায়গায়। আর এই কারনে এত দুষণ । রোজ কত প্রানী এভাবে মারা যাচ্ছে তার হিসেব নেই ।এভাবে প্রানিকুল ব্যপকভাবে বিপদে পড়ছে। জীবকুলের ভারসাম্য খারাপ হচ্ছে। এই প্লাস্টিক  ময়লার খেত্রে সমীক্ষায় উঠে এসেছে ভারত পৃথিবীর মধ্যে ১৫তম স্থানে আছে। আর এই চিন্তায় গ্রেটা থুনবারগ বেশ কিছুদিন আগে একটা মুভমেণ্ট করেছিলো। আর তাতে সাংবাদিক থেকে তাবড় তাবড় মানুষ প্রত্যেকেই তার পাশে এসে দাড়ায়।

BC1

আর এরপর এই নতুন উদ্যোগ নিয়েছে  ভারতীয় সেনাদের অধীনে কর্ম রত ইঞ্জিনিয়াররা । রাস্তা, নদী, খোলা জায়গা থেকে কুড়িয়ে আনা প্লাস্টিকের  পরিমাণ এতটাই যে যার পরিমান জমালে কুতুব মিনার সমান একটা সৌধ হয়ে যাবে।  এইনিয়ে তাই না জমিয়ে এবার নতুন একটা কাজ করলো ভারতীয় সেনাদের অধীনে কর্ম রত ইঞ্জিনিয়াররা । প্রতি বছর ভারতে ৫৬ লক্ষ টন প্লাস্টিক জমা হয়৷ এর মধ্যে রাজধানী দিল্লি প্রতিদিন ৯,৬০০ মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদন করে৷ এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কঠোর কোনো আইন ভারতে নেই৷

পৃথিবীর মাটি, বাতাস, প্রাণী ও উদ্ভিদ প্লাস্টিক দূষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পৃথিবীর তিন ভাগ জল ও তাতে থাকা জলজ প্রাণী-উদ্ভিদ৷ একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, যেভাবে দূষণ বাড়ছে তাতে ২০৫০ সালে সমুদ্রে মাছের তুলনায় প্লাস্টিকের সংখ্যা বেশি হবে৷ এর মোকাবিলা কীভাবে হবে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট রূপরেখা নেই৷ এর মধ্যেই খবর মিলেছে, অ্যামেরিকায় আগামী এক দশকে প্লাস্টিকের উৎপাদন বাড়বে ৪০ শতাংশ৷ আর এরকম কিছু উদ্যগ নেওয়া হলে তা আমাদের পৃথিবীর সকল প্রানীর কাছেই মঙ্গল হবে।

সম্পর্কিত খবর