ঋণ খেলাপির টাকা পুনরুদ্ধার! দেশের ব্যাঙ্কে ফিরল ৬.৪২ লাখ কোটি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঋণের টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে কিছুটা হলেও স্বস্তির মুখ দেখছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলি। সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে বড় অঙ্কের ঋণের টাকা ফেরত পেয়েছে কিছু ব্যাংক। এর ফলে যে ব্যাংকগুলি আশঙ্কা করছিল তারা নন পারফর্মিং অ্যাসেট ( Non Performing Asset) বা NPA তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বে, তাদের ক্ষেত্রে এই খবর কিছুটা হলেও মুখে হাসি ফোটাবে।একাধিক ব্যাংক নিজেদের ঋণের টাকা ঘরে পেয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।

একটি সরকারি সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, ভারতের পাবলিক সেক্টর ব্যাংকগুলি ৬.৪ লক্ষ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এই হিসাব ২০১৫ সাল থেকে প্রযোজ্য। অর্থাৎ ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশের পাবলিক সেক্টর ব্যাংকগুলি এই বিপুল পরিমান খেলাপি ঋণের টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের একটা বড় অংশের অভিযোগ ছিল মোদির আমলে দেশের ব্যাংকিং অবস্থা খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ঋণখেলাপ ও অন্যান্য ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছিলো পাবলিক সেক্টর ব্যাংক গুলিতে। এর ফলে কিছুটা হলেও হাসি ফুটল মোদি সরকারের মুখেও।

এছাড়াও জানা যাচ্ছে দেশের প্রায় ৯৮% রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে বা ভবিষ্যতে নিতে চলেছে। এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য তা বলাই যায়।

কিন্তু সরকারের ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে এত কড়া পদক্ষেপ কেন? বিগত কয়েকটি বছরে ব্যাংক এবং ঋণখেলাপ একটি মুদ্রার এপিঠ – ওপিঠ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নীরব মোদির মত বড় মাপের ব্যবসায়ী পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের থেকে ঋণ নিয়ে দেশত্যাগী হয়েছেন। এছাড়াও সরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দেশ ছেড়েছেন বিজয় মালিয়া থেকে মেহুল চকসির এর মত তাবড় ব্যবসায়ীরা। এই বিপুল পরিমাণ টাকা যদি তারা উদ্ধার করা যেতে পারে তা ব্যাংকের পক্ষে তো নিশ্চয়ই রাষ্ট্রের পক্ষেও মঙ্গলজনক।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর