পাকিস্তানিরা লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাস নোংড়া করেছিল, ভারতীয় সাফাই করে দিলেন জবাব।

পুরো বিশ্বে ভারতীয়রা এখন সংগঠিত হতে শুরু হয়েছে। পন্ডিত চাণক্য বলতেন বিদেশী শক্তি সব সময় চাই ভারতীয়রা জাতি, ভাষা, রাজ্য, প্রদেশ ইত্যাদির ভেদাভেদ খন্ড খন্ড হয়ে থাক। কারণ ভারতীয় জাতি এক ছাতার তলে এলে ভারতে শাসন করা সম্ভব নয়। বহু সময় পর এখন ভারতীয় সমাজ জাতি, ভাষা, প্রদেশের ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে দেশ বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শুরু করেছে। লন্ডনে ভারতীয় সম্প্রদায় শনিবার আবার একতা দেখিয়েছে। লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনের সামনে পাকিস্তানি বিক্ষোভকারীরা গণ্ডগোল করে যে নোংরা ছড়িয়ে দিয়েছিল, তা ভারতীয় সম্প্রদায়ের লোকজন মিলে পরিষ্কার করেছে। ভারতীয় হাই কমিশনার রুচি ঘনশ্যামও ভারতীয়দের প্রচারে যোগ দিয়েছিলেন।

গত সপ্তাহে, পাকিস্তানি বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় দূতাবাসের সামনে একটি বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন। বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় দূতাবাসকেও পাথর দিয়ে হামলা করেছিল। ভারতীয় সম্প্রদায় একতা দেখিয়ে পাকিস্তানের বিক্ষোভকারীদের যথাযথ জবাব দিয়েছে। পরিচ্ছন্নতা অভিযানটি ইংল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল 11 টা থেকে শুরু হয়েছিল। ভারতীয় সম্প্রদায়  লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের কাছে পরিচ্ছন্নতার ইনভয়েস পাঠিয়েছে।  খান প্রতিবাদকারীদের পাকিস্তানিদের উপদ্রবের নিন্দা করেছেন এবং আচরণকে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রক বলেছেন যে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটেছে। পাকিস্তানিদের উপদ্রব আমাদের হাই কমিশনের সুরক্ষা ও স্বাভাবিক কাজকর্মকে প্রভাবিত করেছে। আমরা এ জাতীয় ঘটনা মেনে নেব না। লন্ডন সরকারকে এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীর থেকে অনুচ্ছেদ ৩৭০ অপসারণের পর পাকিস্তানি বিক্ষোভকারীরা লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে ৩ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন। বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় হাই কমিশনে ডিম, টমেটো এবং জুতা নিক্ষেপ করে। পাকিস্তানি বিক্ষোভকারীদের এই কাজ দ্বারা ভারতীয় হাই কমিশনের জানালাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। গত এক মাসে এটি পাকিস্তানি কট্টরপন্থীদের দ্বিতীয়বার উপদ্রব ছিল। এর আগে ১৫ ই আগস্ট, পাকিস্তানি বিক্ষোভকারীরা লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনে বিক্ষোভ করেছিলেন, যা ব্রিটিশ সংসদ দ্বারাও নিন্দা করা হয়েছিল।

সম্পর্কিত খবর