ভারতীয় ইঞ্জিনিয়াররা দেখাচ্ছে দক্ষতাঃ দ্রুতগতিতে, কম মূল্যের ভেন্টিলেটর তৈরি করে লাগাচ্ছে তাক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস (COVID-19) সমগ্র বিশ্বে তাঁর প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে সবথেকে প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে ভেন্টিলেটর (Ventilator)। ইতালি, স্পেন, আমেরিকা এখন সব দেশেই ভেন্টিলেটরের সংকট দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থতিতে শোনা যাচ্ছে ভারতের (India) মহারাষ্ট্রের পুনেতে অবস্থিত একটি স্টার্ট আপ কোম্পানি NOCCA Robotics PVT LTD এ কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার ভেন্টিলেটরস বানানোর কাজ করছেন। মেকানিক্যাল, ইলেক্ট্রনিক্স এবং এয়ারো স্পেস স্ট্রিমের বেশ কিছু ছাত্র মিলিতভাবে এই কাজ করছে।

   

এই কোম্পানির বাৎসরিক আয় প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা। এই কোম্পানির এখন লক্ষ মাত্র ২৫ টাকার ভেন্টিলেটর বাজারে নিয়ে আসার। ৭ জন ইঞ্জিনিয়ারের চেষ্টায় এখনও অবধি এই মেশিনের ৩ ধরনের প্রোটোটাইপ তৈরি হয়েছে। এই মেশিনের পরীক্ষা করচ্ছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স টেকনলজি।

বর্তমানে বৈদেশিক ব্যবসা বন্ধ থাকায় বিদেশ থেকে ভেন্টিলেটর আনতে অসুবিধা হচ্ছে। তবে ভেন্টিলেটর বানাতে বেশ কিছু জিনিসের প্রয়োজন হয়, যা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তবে সেই সব দ্রব্যও বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন কোম্পানিতে বানানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। ভেন্টিলেটরে দুটি ভাগ হয়। একভাগ মানুষের মস্তিষ্কে পেশি সঞ্চালনে সহায়তা করে। এবং অন্যভাগ এই কাজ করতে সহায়তা করে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে দেশীয় এই কোম্পানি ভেন্টিলেটর প্রস্তুত করছে।

ভেন্টিলেটর মেশিনে প্রোস্থেটিক ডিভাইস আছে, যা রক্ত থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড বের করে অক্সিজেন প্রবেশ করার কাজ করে। এই স্টার্ট আপ কোম্পানি ৭ ই এপ্রিলের মধ্যে এমন মেশিন বানিয়ে ফেলবে, যা পরীক্ষার পর অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা যাবে। ভারতের এই কাজে আমেরিকাও অনেক প্রশংসা করেছে। বর্তমানে আমেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে করে তারাও চাইছে দ্রুততার সঙ্গে এই ভেন্টিলেটর যেন ভারত প্রস্তুত করে তাঁদেরকেও পাঠায়।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর