২০২১ সালে মোবাইল এপ্লিকেশনের মাধ্যমে করা হবে ভারতের জনসংখ্যার গণনা।

২০২১ এ শুরু হতে চলেছে ভারতের জনসংখ্যা গণনা যার পস্তুতি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন যে জনসংখ্যা জনগণনা একটি বিরক্তিকর অনুশীলন নয়। এটি এমন একটি অনুশীলন যা জনগণকে সরকারি প্রকল্পগুলি থেকে উপকৃত হতে সহায়তা করে। জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর) সরকারকে দেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে। তিনি জানান যে ২০২১ সালে যে জনগণনা হবে সেটায়  আমরা মোবাইল অ্যাপের ব্যবহারও করব। জনগণনার ডিজিটাল ডেটা থাকলে এটি বিভিন্ন ধরণের বিশ্লেষণের জন্য ব্যবহার করা যাবে। জানিয়ে দি কট্টরপন্থীরা অনেক সময় নিজেদের জনসংখ্যাকে আড়াল করার চেষ্টা করে।

population distribution

 

জনগণনাকে দেশের সামাজিক প্রবাহকে সংগঠিত করা, দেশের সর্বশেষ ব্যক্তির বিকাশ এবং দেশের ভবিষ্যতের কাজের উপর আয়োজনের কথা উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেছেন, “জনগণনা পুরো বিল্ডিংটি পুরো  সবুজ বিল্ডিং হবে, ভারতে সবুজ বিল্ডিং ধারণাটি গ্রহণ করার প্রয়োজন ”
অমিত শাহ বলেছিলেন, “সরকার এবারের জনগণনার উপর সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে চলেছে। আমরা এই বার জনগণনা ও জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধ প্রস্তুত করতে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে যাচ্ছে। ২০২১ সালে আধুনিক রূপ প্রযুক্তির  ব্যবহার করে জনগণনাকে ডিজিটাল করা হবে।

dc Cover pejchmjse3av7at5s1fqdncoi0 20181125003722.Medi

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন যে ১৮৬৫ সালে প্রথম জনগণনা করা হয়েছিল আর তখন থেকে শুরু করে এখন অব্দি এটা ১৬তম জনগণনা হতে চলেছে। আজ অনেকগুলি পরিবর্তন ও নতুন পদ্ধতির পরে জনগণনা ডিজিটাল হচ্ছে। তিনি আরো বলেছেন  যে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে আমাদের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। দেশকে সমস্যা থেকে মুক্ত করতে ২০১৪ সালের পরে এই জাতীয় পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল।

 

তিনি বলেছিলেন যে বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও এর মতো প্রকল্পগুলিও জনগণনা থেকেই জন্ম নিয়েছে। জন সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া, গর্ভপাতের আইনকে শক্ত করা, কম লিঙ্গঅনুপাত রাজ্যগুলিতে অনেক প্রচার চালানো এই গণনা থেকেই সম্ভব হয়। বেটি বাচাও-বেটি পঠও অভিযান জনগণনা থেকেই জন্ম নেয়। জন সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া, গর্ভপাতের আইনকে শক্ত করার মতো স্বল্প লিঙ্গের অনুপাতের রাজ্যে অনেক প্রচেষ্টা করা হয়।

সম্পর্কিত খবর