ফের চমক ISRO-র! এবার একইসাথে উৎক্ষেপণ করল ৯ টি স্যাটেলাইট, রয়েছে ভুটানের একটি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশবাসীর সামনে একের পর এক চমক উপস্থাপিত করছে ISRO (Indian Space Research Organisation)। ইতিমধ্যেই প্রথম ব্যক্তিগতভাবে তৈরি ভারতীয় রকেট “Vikram-S”-কে উৎক্ষেপণ করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল দেশের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। তবে, এবার শনিবার আরও একটি বড় কীর্তি স্থাপন করল ISRO। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ১২ টা নাগাদ একইসাথে ৯ টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে ISRO-র তরফে।

এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা ANI অনুসারে জানা গিয়েছে যে, তামিলনাড়ুর শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে PSLV-C54/EOS-06 মিশনের অধীনে ISRO ওশেনস্যাট-৩ এবং ভুটান থেকে একটি উপগ্রহ সহ আটটি ছোট উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসরো প্রধান।

ইতিমধ্যেই ISRO চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন যে, PSLV-C54 সফলভাবে আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট এবং অন্যান্য আটটি উপগ্রহকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করেছে। ISRO-র তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার বেলা ১১ টা ৫৬ মিনিট নাগাদ এই উৎক্ষেপণ করা হয়। এই লঞ্চে ওশানস্যাট-৩ সহ আটটি মিনি স্যাটেলাইট- ভুটানস্যাট, পিক্সেলের “আনন্দ”, ধ্রুব মহাকাশের দুটি থায়বোল্ট এবং স্পেসফ্লাইট ইউএসএ-র চারটি অ্যাস্ট্রোকাস্ট SLV-C54-এর মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এর আগে ISRO প্রথম ব্যক্তিগতভাবে তৈরি ভারতীয় রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল। গত ১৮ নভেম্বর, “Vikram-S” নামের ওই রকেট তিনটি স্যাটেলাইট নিয়ে মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। ছয় মিটার লম্বা লঞ্চ ভেহিক্যাল “Vikram-S”- এর নামকরণ করা হয় আমাদের দেশের মহাকাশ গবেষণার জনক বিক্রম সারাভাইয়ের নামে। পাশাপাশি, রকেটটি তৈরি করে “স্কাইরুট অ্যারোস্পেস।”

স্বাভাবিকভাবেই, এই ঘটনা ভারতের মহাকাশ গবেষণার জগতে একটি ঐতিহাসিক কর্মকান্ড হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। পাশাপাশি, নতুন সূচনার প্রতীক হিসেবে ওই মিশনের নামকরণ করা হয়েছিল “প্রারম্ভ”। জানা গিয়েছে, “Vikram-S” চেন্নাই-ভিত্তিক স্টার্ট-আপ “স্পেস কিডজ”, অন্ধ্রপ্রদেশের স্টার্ট-আপ “এন-স্পেস টেক” এবং আর্মেনিয়ান স্টার্ট-আপ “বাজুমকিউ স্পেস রিসার্চ ল্যাব”-এর স্যাটেলাইট বহন করে মহাকাশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর