ভারতে চালু হল ইন্ডিয়ার ফার্স্ট ড্রাইভ থ্রু কোভিড-১৯ টেস্টিং সেন্টার, গাড়ির ভেতর থেকেই হবে নমুনা সংগ্রহ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতে (India) লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা। এই সময় বেসরকারী ল্যাব গুলোতে করোনা পরীক্ষার জন্য অনুমতি দিয়ে দিয়েছে সরকার। বিভিন্ন সংগঠন বানিয়ে সরকার একত্রিত ভাবে কাজ করে চলেছে, যাতে অতিদ্রুত করোনা ভাইরাসের প্রসাব লাভে বিঘ্ন ঘটানো যায়। এই পরিস্থিতিতে দিল্লীতে (Delhi) বিখ্যাত ডাঃ ড্যাংস ল্যাবের পক্ষ থেকে গাড়িতে বসেই করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সরকাররে থেকে অনুমতি পাবার পর থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে এই ইন্ডিয়ার ফার্স্ট ড্রাইভ থ্রু কোভিড-১৯ টেস্টিং সেন্টার।

   

এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করতে হলে প্রথমে ডাঃ ড্যাংস ল্যাবের ওয়েবসাইট মারফত বুকিং করতে হবে। সেইজন্য সরকারের দ্বারা প্রমাণিত পরিচয় পত্র দিতে হবে। এছাড়াও করোনার টেস্ট লেখা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনও জমা দিতে হবে। অনলাইনে একজন চিকিৎসা ইচ্ছুক ব্যক্তিকে এই নথিগুলো জমা দিতে হবে। তবে এই পরীক্ষার জন্য পাবলিক গাড়ি বা টু হুইলার গাড়িই ব্যবহার করা যাবে না। চার চাকা বিশিষ্ট নিজস্ব গাড়িতে ২০ মিনিটের মধ্যে এই পরীক্ষা করা যেতে পারে। এবং পরীক্ষার রিপোর্ট ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যাবে।

এই বিষয়ে একজন ডাক্তার জানালেন, ‘এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করাতে চাইলে প্রথমে অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। সরকারী নথিপত্র জমা দিতে হবে, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন জমা দিতে হবে এবং সম্পূর্ণ ফর্ম ব্যক্তিকে পূরণ করতে হবে। এই ফর্মে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন থাকবে। যেমন- ব্যক্তিটি সম্প্রতি কোন বিদেশে ভ্রমণ করছেন কিনা? শারীরিক অসুবিধা যেমন শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি ইত্যাদি অসুবিধা আছে কিনা ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। কোন প্রশ্নের উত্তর না জানা থাকলে ‘NO’ লিখতে হবে। তারপর গাড়ির নাম্বার দিতে হবে। সমস্ত তথ্য দিয়ে ফর্ম সাবমিট করতে হবে।

রোগীর গাড়ির নাম্বার মিলিয়ে তবেই তাঁকে চিকিৎসার জন্য সম্মতি দেওয়া হবে। এক সঙ্গে একটির বেশি দুটি গাড়ি এই পরীক্ষা করতে পারবে না। একটি একটি করে গাড়ির ব্যক্তিকে পরীক্ষা করা হবে। গাড়ি পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর, চিকিৎসক কর্মীরা ব্যক্তির নাক এবং গলা থেকে লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠাবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে। এরপর পরীক্ষার রিপোর্ট ইমেল মারফত ২৪-৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ব্যক্তির কাছে পৌঁছে যাবে।

ভারত সরকার এই প্রক্রিয়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে মাত্র সাড়ে ৪ হাজার টাকা, যা ডিজিটাল পদ্ধতিতে জমা দিতে হবে। এই পদ্ধতিটি বর্তমানে খুবই সুরক্ষিত একটি প্রক্রিয়া। যেখানে রোগীকে গাড়ি থেকে বেরোনর প্রয়োজন হচ্ছে না। চিকিৎসা কর্মীরা গাড়ির ভেরত থেকেই মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করতে পারছে। বিভিন্ন দেশ এই মডেলের কাজ আগেই শুরু করে দিয়েছে। তবে এবার ভারত এই উদ্যোগ নিতে চলেছে। আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই এর সুফল মিলবে।

 

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর