চীনের গবেষণাগার থেকেই করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি! আমেরিকার দাবিতে শিলমোহর!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস প্রায় দেড় বছর ধরে আতঙ্ক ছড়িয়ে চলেছে গোটা দেশজুড়ে। ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়েই রীতিমতো নাজেহাল হয়ে পড়েছিলো গোটা বিশ্ব তার ওপর এখন আবার এসেছে দ্বিতীয় ঢেউ। যা আরো কয়েকগুণ বেশি মারাত্মক। গবেষকদের অনুমান কিছুদিনের মধ্যে আসতে পারে এই ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউও। প্রথম দু’টি স্রোতে শিশুরা সেভাবে আক্রান্ত না হলেও তৃতীয় ঢেউ আরও অনেক বেশি মারাত্মক হতে চলেছে তাদের জন্য। তবে দেড় বছর কেটে গেলেও এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি একটি আদি প্রশ্নের। করোনা ভাইরাস কি প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট? নাকি জেনে বুঝেই একে জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছিলো চীন? আর সেই গবেষণা চলাকালীন উহান ল্যাব থেকেই কোনভাবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল ভাইরাসটি?

   

কিছুদিন আগেই একটি গবেষণায় জানানো হয়েছিল করণা ভাইরাসের উৎপত্তি উহান ল্যাবেই। এবার এই বিষয়টিকে স্বীকৃতি দিল আমেরিকান ল্যাব থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনও। এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ভাইরাসটির ল্যাব থেকে লিক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কিছুদিন আগেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ পড়েছে বাইডেন প্রশাসন। ৯০ দিনের মধ্যে বিষয়টি খুঁজে বের করার জন্য ইতিমধ্যেই গোয়েন্দাদের নিয়োগ করেছে তারা। এর আগে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প থাকাকালীনই চীনের গবেষণাগার থেকে ভাইরাস এসেছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। সেই তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে চলেছে বাইডেন প্রশাসনও।

আমেরিকান সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়েছে ২০২০ সালের মে মাসেই ক্যালিফোর্নিয়ায় লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি ভাইরাসটি চীনের গবেষণাগারে তৈরি হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে গবেষণা শুরু করেছিল। ভাইরাসের জিনগত বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে চলেছে কাজ। ইতিমধ্যেই মার্কিন জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, “আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একসাথে চীনের ওপর এই বিষয়ে চাপ বাড়াবো। যাতে তারা স্বচ্ছভাবে তথ্য এবং নথিপত্র সকলের সামনে আনে।” তার মত চীন যদি এ বিষয়ে সহযোগিতা না করে তাহলে চুপ করে হাতে হাত রেখে বসে থাকা যায় না। ভাই আমেরিকা তার মত করে তদন্তের কাজ চালিয়ে যাবে।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথমবার বিদেশ সফরে মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন জো বাইডেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী সেখানেও এই প্রসঙ্গ উত্থাপিত করবেন তিনি।

Avatar
Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর