পশ্চিমবঙ্গের বাজেটে অপমানিত হলেন রাজ্যপাল! বললেন বাংলার মানুষ বিচার করুক

প্রথম থেকেই রাজ্যপালের সাথে খটিনাটি লেগেই ছিলো । এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় , তারপর কার্নিভালের শোভাযাত্রা  এছাড়াও একাধিক। তিনি বরাবর যেন সব জায়গা থেকে অপমানিত বোধ করে গেছেন। আর তাছাড়াও তার সাথে কখনোই মতের মিল হয়নি।

   

আর এবার বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রীর ভাষণের সরাসরি সম্প্রচার হলেও বিধানসভার অধিবেশনের প্রারম্ভিক ভাষণের কেন সম্প্রচার হয়নি সেই নিয়ে ফের সঙ্ঘাত বেধে গেছে । ৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়। হাজারও টানাপোড়েনের পর রাজ্যের বয়ান অনুযায়ী তাতে প্রারম্ভিক বক্তৃতা দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখেড় । সনঘাত এমন জায়গায় গিয়েছে যে তাই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের বাজেট পেশের পরই একের পর এক টুইট করেন জগদীপ ধনকড়।

 

 

বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে  তিনি লেখেন, “অর্থমন্ত্রীর ভাষণের সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। তবে বাজেট অধিবেশনের আমার প্রারম্ভিক ভাষণের সরাসরি সম্প্রচার করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমকেও দূরে রাখা হয়েছিল। রাজ্যবাসীর উপরে এই ঘটনার বিচারের ভার দিলাম” । সাধারণতন্ত্র দিবসে মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যপালের আমন্ত্রণে উপস্থিতি দেখে ভাবা হয় যে এবার হয়তো সম্পর্কের মোড় ঘুরে যাবে । মানে এবার আর সেই কড়া সম্পর্ক থাকবে না। কিন্তু সেই নিয়ে জল্পনা করতে করতেই ফের আবার অশান্তি লেগে গেলো দুই পক্ষের ।

পাশাপাশি অমিত মিত্র এনআরসি নিয়েও  বলেন এই এনারসি করার ফলে দেশের মধ্যে বিভাজন করার একটা চেস্টা চালানো হচ্ছে । আর পাশাপাশি তিনি জিডিপি নিয়েও নানান কথা বলেন। সেখানে বিগত কয়েক বছরে দেশের হাল অনেকটাই খারাপ । আর সেই খারাপ দিক তুলে ধরে তিনি বলেন দেশের সাধারন মানুষের কথা তো ভাবাই হচ্ছে না ।তিনি আসন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে অন্তত ৩৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন বলেও জানিয়েছেন। আবার এর জন্য রাজ্য সরকার ২০০ কোটি টাকা আর্থিক বরাদ্দ ঘোষণা করেছে। আর  সব মিলিয়ে এর মাঝেই আবার দ্বন্দ্ব লেগে গেলো রাজ্যপালের সাথে ।

সম্পর্কিত খবর