মায়ের মৃত্যুর কারণে ট্রাক,মালগড়ি ও নৌকার মাধ্যমে অতিক্রম করলেন ১১০০ কিমি পথ

কোরোনার এই খারাপ পরিস্থিতিতে একের পর এক ঘটনা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে বাস্তবে দেখিয়েছে। এর মধ্যেই এক জওয়ান তার মাকে দেখতে অনেক কষ্টে গ্রামে পৌছায়। তিনি মার মৃত্যুর খবর পেয়েছিলেন।তার নাম  সন্তোষ যাদব তিনি জানান ‘মায়ের মৃত্যুর পরে আমি গ্রামে পৌঁছতে চেয়েছিলাম, কারণ ছোট ভাই এবং বিবাহিত বোন দুজনেই মুম্বাইয়ে থাকেন।

   

প্রথমে তিনি রায়পুরে পৌঁছতে চেয়েছিলেন,যাদবের মতে, তাঁর এক সঙ্গী তাকে প্রথমে বিজাপুরে নিয়ে যান। পরে তিনি জগদলপুরে পৌঁছানোর জন্য একটি ধান বোঝাই ট্রাকের উপরে উঠেছিলেন।

রায়পুরের প্রায় 200 কিলোমিটার আগে কোন্ডাগাঁওয়ে নিয়ে যায়। যাদব বলছেন যে কন্ডাগাঁয় পুলিশ সদস্যরা তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করার সময় তাকে থামিয়ে দিয়েছিল। আর এরপরেও একজন পরিচিত কর্মকর্তা তাকে ওষুধযুক্ত গাড়িতে রায়পুর পৌঁছাতে সহায়তা করেছিলেন। এরপরেও রায়পুর এর কাছের রেল স্টেশন চুনারে যায় মালগাড়ি করে ।  এরপরে পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে নৌকায় করে গঙ্গা নদী পেরিয়ে দশ এপ্রিল তাঁর গ্রামে পৌছায়। অবশ্য তিন দিন লেগে যায় পৌঁছাতে। জওয়ান সন্তোষ যাদব, বয়েস তিরিশ।

যিনি ২০০৯ সালে ছত্তিশগড় সশস্ত্র বাহিনীতে ভর্তি হয়েছিলেন, তিনি বিজাপুর জেলার ধূর নকশাল-প্রভাবিত ধনৌড়া ক্যাম্পে (ভানপুর) পদে রয়েছেন।সারা বিশ্ববাসীর কাছে এখন এক গভীর সঙ্কটের সময়। করোনার গ্রাসে চলে গিয়েছে একের পর এক শক্তিশালী দেশ। চিনের উহানে শুরু হওয়া এক ভাইরাস এখন কব্জা করেছে গোটা বিশ্বকে। প্রথমে চিন, তারপর একে একে ইতালি, ইরান, স্পেন, আমেরিকাতে নিজের আধিপত‍্য বিস্তার করেছে এই মারণ ভাইরাস। আর তার জেরেই লক ডাউন। তবুও সন্তোষ এতো কষ্টের মধ্যেও মার কাছে পৌঁছায়।

সম্পর্কিত খবর