শীতলকুচি কাণ্ডে প্রত্যক্ষদর্শীদের তোলা ভিডিও মুছে দিয়েছে পুলিশ! বিস্ফোরক দাবি BJP নেতার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভোটের বাংলায় শীতলকুচির গুলি কাণ্ড এখনও রাজনৈতিক চর্চার অন্যতম বিষয়। তৃণমূল-বিজেপি একে ওপরের দিকে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করছে। এমনকি সংযুক্ত মোর্চার শরিক দল বাম নেতৃত্বরাও এখন তা নিয়ে সরব হচ্ছে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি হয়ে উঠেছে সরগরম। এই গুলি কাণ্ড নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনের রোষানলে পড়েছে শাসক-বিরোধী উভয় শিবিরই।

প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফা ভোটের দিন অর্থাৎ শনিবার কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচির (Sitalluchi) ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান চার জন। এনিয়ে নির্বাচন কমিশন এবং শাসক দল তৃণমূলের উভয়ের তরফে ইতিমধ্যেই বিস্তারিত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। তবে বাম শিবিরের তরফে ওই বুথের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আনার দাবি জানানো হয়েছে। বাম সমর্থিত ‘বাংলা মঞ্চ’ এর দাবি, নিহিতদের পরিবারের জানার অধিকার আছে যে কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) গুলিতে তাঁদের প্রিয়জনদের হারাতে হল। কিসের পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন গুলি চালানো হয়েছিল। এমনকি ‘বাংলা মঞ্চের’ তরফে এও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, আগামী ১৯ তারিখের মধ্যে কমিশন যদি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে না আনে তাহলে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দপ্তর ঘেরাও করে হবে।

West Bengal byelection: Senior BJP leader heckled by 'TMC worker' in Karimpur - Watch Video - The Financial Express

এমনই তরজার মধ্যে এবার চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে বসলেন বিজেপি (BJP) নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Mojumdar)। তাঁর অভিযোগ, সেদিন প্রত্যক্ষদর্শীরা যে ভিডিও ক্যামেরা বন্দী করেছিল। তা মুছে দিয়েছে পুলিশ। তিনি এও জানান, এতে ইন্ধন ছিল তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইপিএস অফিসার জ্ঞানবন্ত সিংয়ের। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন তিনি। একে অনেকেই এটিকে হাস্যকর দাবি বলে গণ্য করছে।

জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, ‘সেদিন এত জন লোক কেন্দীয় বাহিনীর উপর চড়াও হয়েছিল। সবার হাতে গ্রাম্য অস্ত্র ছিল। সডি গোটা ঘটনা যারা দেখেছে তাঁদের কেউ কি ওই দৃশ্যের ভিডিও ক্যামেরা বন্দী করেনি! তা অবিশ্বাস্য বলে দাবি করেন তিনি। তারপর তিনি এও বলেন, নিশ্চয় তুলে ছিল। তবে তা বাইরে আসেনি। কারণ আমাদের কাছে খবর আছে, ওইদিন রাতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পুলিশ সবার মোবাইল চেক করে ভিডিও মুছে দিয়েছে। যাতে সত্য প্রকাশ্যে না আসে।

সম্পর্কিত খবর