একদিন বাদাম বেচে সংসার ও পড়াশোনা চালাতে হয়েছে, মেধাবী সেই পড়ুয়া যাচ্ছেন নাসায়

বাংলা হান্ট ডেস্ক :  গভীর অধ্যাবসায় জেদ থাকলে অনেক দুর্গম পথ অতিক্রম করা যায়, তখন কোনও বাধাই আর বাধা নয়। বরং প্রতিকূল পরিস্থিতিকে পেরিয়ে কী ভাবে সাফল্যের শিখরে পৌঁছনো যাবে তার জন্য শুরু হয় অন্য লড়াই। আর ঠিক সে ভাবেই দারিদ্র তাঁকে জয় করে দেশ থেকে বিশ্বের দরবারে স্থান পেয়েছেন এমন নজির কম নয়। কয়েক দিন আগেই নিতান্তই দারিদ্র্যতার সঙ্গে যুদ্ধ করে দেশের কনিষ্ঠতম আইপিএস অফিসার হয়েছেন এক যুবক। এবার আবারও সমস্ত বাধা পেরিয়ে বিশ্বের দরবারে পৌঁছনোর সুযোগ করে নিলেও এক পড়ুয়া।

ছোট থেকে বাবা বাড়িতে থাকেন  না তাই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে কখনও বাদাম বিক্রি করতে হয়েছে আবার কখনও নিজের পড়াশোনা চালানোর জন্য ছাত্র পরাতে হয়েছে। তার সঙ্গে আবার মা ও ভাইয়ের দেখভালের দায়িত্বও ছিল তাঁর।নাম তাঁর জে জয় লক্ষ্মী। তামিলনাড়ুর পাত্তুকোট্টাইয়ের একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী এবার নিজস্ব চেষ্টা ও অদম্য জেদের বশেই নাসায় যেতে চলেছেন।

সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে তাঁর নাসায় যাওয়ার কথা। জানা গিয়েছে বাবা গৃহত্যাগী তাই ইচ্ছে মতো টাকা পাঠায় মা ও ভাই দুজনেই অসুস্থ তাই নিজের ওপর নির্ভর করতে হয় নিজেকেই। তাই তো অষ্টম ও নবম শ্রেণি অবধি স্টুডেন্ট পড়িয়েছে এই জয় লক্ষ্মী। হঠাত্ একটি পত্রিকায় পড়ুয়াদের নাসায় যাওয়ার সুযোগের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় তার পর সেই প্রতিযোগিতায় যোগদানের জন্য ফর্ম ফিলাপ করে সে এবং নিজে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।

   

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সাফল্য এসেছে তার। কিন্তু সাফল্য আসলেও দারিদ্রতা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তো জয় লক্ষ্মীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তার কয়েকজন সহপাঠী। নিজেদের খরচ বাঁচিয়ে তাঁকে পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়েছে।যদিও নাসায় যাওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট নয় তাই তো ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে সে।

সম্পর্কিত খবর