নিরাপত্তা নিতে অস্বীকার জয়প্রকাশের, নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিল রাজ্য প্রশাসন

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সোমবার 25 নভেম্বর তারিখে রাজ্যের র বিধানসভা কেন্দ্র খড়্গপুর করিমপুর কালিয়াগঞ্জে বিধানসভা উপনির্বাচন হয়েছে। সকাল থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারিতেই তিনটি কেন্দ্রেই শান্তিমতো ভোট গ্রহণ চলছিল কিন্তু হঠাত্ই করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের উপর হেনস্থার ঘটনা ঘটে।

যার জেরে রাজ্য প্রশাসনের তরফে জয়প্রকাশ মজুমদারকে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় যদিও সেই নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেন বিজেপি প্রার্থী জয় প্রকাশ।যদিও জয়প্রকাশের তরফে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছিল বলেই সূত্রের খবর। যদিও জয়প্রকাশের এই নিগ্রহের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে রাজ্য বিজেপি।ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বরা।

   

জয়প্রকাশের মারধরের ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায় দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরও আগেই চিঠি পাঠিয়েছেন, মুকুল রায়ের চিঠি পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে দ্রুত রিপোর্ট তলব করা হলে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ  এবং কী ঘটনা ঘটেছিল সেই সম্পর্কিত তথ্য নির্বাচন কমিশন আধিকারিকের দফতরে পাঠানো হয় রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরের তরফে।

অন্য দিকে নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিয়ে রাজ্য পুলিশের এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হবে এমনটা ঘোষণা করা হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের তরফে কিন্তু তা সত্ত্বেও একজন কনস্টেবল কি তাঁর নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পাঠানো হল কেন?

একই সঙ্গে তিনি আরও প্রশ্ন করেছেন তাঁর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ কনস্টেবলকে পাঠানোর মানে কি? যেহেতু নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশ কর্মী থাকা সত্ত্বেও তাঁদের সামনেই জয়প্রকাশ মজুমদারকে রীতিমতো লাথি মেরে জখম করে ফেলে দিয়ে নিগ্রহ করা হয় তাই ঘটনার ক্ষোভ প্রকাশ করেই একজন পুলিশ কনস্টেবল কী ভাবে তাঁকে নিরাপত্তা দেবেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

যদিও করিমপুরে এ ঘটনার জেরেই নড়ে চড়ে বসেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আধিকারিকরা। ঘটনায় অভিযুক্তদের তল্লাশি চালানো শুরু হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে।

সম্পর্কিত খবর